ঋণে হস্তক্ষেপ নেই এনসিসির পরিচালকদের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড (এনসিসি ব্যাংক) সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে ঋণ বিতরণ করে। এখানে পরিচালনা পর্ষদ ঋণ ব্যবস্থাপনায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নূরুন নেওয়াজ সেলিম।
বুধবার (১৬ মে) ব্যাংকের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মিট দ্যা প্রেসে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় এনসিসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেলা হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
নূরুন নেওয়াজ বলেন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ স্বচ্ছতার সঙ্গে ঋণ বিতরণ করে। এখানে পরিচালনা পর্ষদ ঋণ ব্যবস্থাপনায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। ব্যবস্থাপকরা যাচাই-বাছাই করে যে ঋণ দেয়ার সুপারিশ করে ওই ঋণই অনুমোদন দেয়া হয়। ফলে গত কয়েক বছর ঋণ আদায়ে সুফল পাওয়া যাচ্ছে।
ব্যাংকের এমডি মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ বলেন, সম্প্রতি অনেক ব্যাংকের তারল্য সংকট হলেও এনসিসি ব্যাংকে এর প্রভাব পড়েনি। কোনো গ্রাহক টাকা তুলতে এসে সমস্যায় পড়েননি। এছাড়া ডলারেরও কোনো সমস্যা নেই।
গত বছর এনসিসি ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা কমেছে সঙ্গে খেলাপি ঋণও বেড়েছে এর কারণ জানতে চাইলে এমডি বলেন, ২০১৭ সালে এনসিসি ব্যাংক ৪৯২ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত এটি রেকর্ড। কিন্তু এবারই প্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিটভুক্ত ঋণকে খেলাপি দেখাতে বলেছে। একই সঙ্গে এসব ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে বলেছে। এ কারণে গত বছর এনসিসি ব্যাংককে ১১৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রভিশন রাখতে হয়েছে। ফলে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। মুনাফা কমেছে। তবে এতে ব্যাংকের ব্যালান্সশিট শক্তিশালী হয়েছে। ২০১৭ সালে ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ ৩ দশমিক ২৯ শতাংশ।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের অন্যতম সেরা পাঁচটি ব্যাংকের একটি হতে চায় এনসিসি ব্যাংক। এ লক্ষেই কর্মপরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে মুনাফা অর্জনের ক্ষেত্রে এক নাম্বার নয়, ধারাবাহিক টেকসই মুনাফায় বিশ্বাসী এনিসিসি।
এ সময় ব্যাংকের আর্থিক বিবরণী তুলে ধরা হয়। ব্যাংকটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল শেষে এনসিসি ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। ব্যাংকটিতে মোট আমানত দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। ঋণ বিতরণ করেছে ১৪ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা। বর্তমানে ব্যাংকের শাখা ১০৯টি, ৭৪টি এটিএম ও ২ হাজার ১৪৬ কর্মী কর্মরত রয়েছেন।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ১৬, ২০১৮)