দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: এই মাসের শেষ দিকে মুম্বাইয়ে সভায় বসবে আইসিসির কমিটি। এই সভায় টেস্ট ক্রিকেটে টস তুলে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হবে।

খেলা শুরুর আগে মুদ্রা নিক্ষেপের মাধ্যমে ব্যাটিং-বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দল। এটা টেস্ট ক্রিকেটের চিরন্তন দৃশ্য। কিন্তু এই সংস্করণে টসের দৃশ্যটা আর নাও দেখা যেতে পারে! টেস্টে টস থাকবে কি না, তা নিয়ে মুম্বাইয়ে এই মাসের শেষ দিকে আলোচনায় বসবে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি।

স্বাগতিক দল হোম কন্ডিশনের যে সুবিধা নিয়ে থাকে, তা কমাতেই টসপ্রথা তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে আইসিসির কমিটি। ঘরের মাঠে যে দল খেলবে, তারা টস জিতলে প্রতিপক্ষ দলের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে। এই বৈষম্য কমাতেই টসপ্রথা তুলে দেওয়ার কথা উঠেছে। অবশ্য এই আলোচনা নতুন নয়, এর আগেও টস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্লেষক মহল।

টসপ্রথার বিকল্প পদ্ধতিও বের করা হয়েছে। যে দল প্রতিপক্ষের মাঠে খেলবে, তারা সিদ্ধান্ত নেবে আগে ব্যাটিং না বোলিং করবে। আগামী বছর আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে মুদ্রা নিক্ষেপ পদ্ধতি তুলে দিয়ে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়া দলের ইংল্যান্ড সফরেও (অ্যাশেজ) পদ্ধতিটি প্রয়োগ করার কথা ভাবা হচ্ছে।

মুম্বাইয়ে টস নিয়ে আইসিসির কমিটিতে যে আলোচনা হবে, তার সংক্ষিপ্ত বিবরণী পেয়েছে ক্রিকইনফো। তাতে লেখা, ‘টেস্টে এখন স্বাগতিক দলগুলো উইকেট যেভাবে বানায়, তা উদ্বেগজনক। কমিটির একাধিক সদস্য বিশ্বাস করেন, প্রতিটি টেস্টেই টসের সিদ্ধান্ত সহজাতভাবেই সফরকারী দলকে উপহার দেওয়া উচিত; যদিও কমিটিতে এর দ্বিমত পোষণকারীরাও রয়েছেন।’

২০১৬ মৌসুম থেকে ইংলিশ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে আসা দল চাইলে টস না করে নিজেরাই বোলিং শুরুর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক চাইলে টসপ্রথায়ও যেতে পারেন। এটির কার্যকর প্রয়োগ হয়তো আইসিসিকে উৎসাহিত করেছে। হোম কন্ডিশনের সুবিধা নিতে স্বাগতিক দলগুলো যে রকম উইকেট বানাচ্ছে, টস তুলে দেওয়া হলে তা কমে আসবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ১৭, ২০১৮)