কোটা আন্দোলনের ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন শনিবার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নুর বলেন, এখন রমজান মাস চলে এসেছে। এছাড়া সুফিয়া কামাল হলে এখন নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে ১০ এপ্রিল রাতের অনাকাঙ্খিত ঘটনার বিষয়ে মঙ্গলবার থেকে হল অফিসে ডেকে ছাত্রীদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের স্বাক্ষর করা এই শোকজ নোটিশের উত্তর দুই সপ্তাহের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। এর আগে হল কর্তৃপক্ষও একই ধরনের নোটিশ দিয়েছিল ছাত্রীদের। কারণ দর্শানোর এই নোটিশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী হলের ছাত্রীরা নতুন করে হয়রানির আশঙ্কা করছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০১৩ সাল থেকে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা গতি পায়। আন্দোলনকারীদের দাবি, কোটায় ১০ শতাংশের বেশি নিয়োগ নয় এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে।
পরে ৮ এপ্রিল শাহবাগ অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ তাদের উঠিয়ে দিলে রাতভর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। সে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। পক্ষে-বিপক্ষে সংসদ ও দেশব্যাপী তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী সংসদে ঘোষণা দেন, চাকরিতে আর কোটাই থাকবে না। তবে আদিবাসী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
কোটা বাতিলের ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধিতে ভূষিত করে। এরপর তারা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছে।
৯ এপ্রিল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন থেকে ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপনের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। অন্যথায় তারা ফের আন্দোলনের নামবেন বলে ঘোষণা দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কোটা সংস্কারে কমিটি গঠনের প্রস্তাব পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠনের এ উদ্যোগকে আন্দোলন ভণ্ডুলের ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর ১৪ মে সন্ধ্যায় শাহবাগে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে রাজপথের আন্দোলন স্থগিত করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তবে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত সব ধরণের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন তারা।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ১৮, ২০১৮)