দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গুম, খুন ও বিচারবর্হিভূত হত্যার মাধ্যমে অপরাধ দমন করা সম্ভব নয়। বেআইনি মৃত্যুদণ্ড অপরাধ দমনের মানদণ্ড হতে পারে না। এ অধিকার কারও নেই বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (২২ মে) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বিচারবর্হিভূত হত্যার নামে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানুষ হত্যা প্রাত্যহিক কাজে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড মানবধিকারের পরিপন্থী ও আইনের লঙ্ঘন। এ অনাচারের সরকারি প্রশাসনের মানবতার অধঃপতন আরও নিচের দিকে নামছে।

রিজভী বলেন, গতরাতেও চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী, নেত্রকোনা, দিনাজপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০জনকে ক্রসফায়ার দেয়া হয়েছে। মাদক নির্মূলের নামে বিচারবর্হিভূত হত্যার যে হিড়িক চলছে তাতে গভীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আছে। তা হল টার্গেট করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করে মেরে ফেলা।

গতরাতেও নেত্রকোনায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে ছাত্রদলের সদস্য আমজাদ হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার জনমনে আতঙ্ক তৈরি করতে চাইছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সুখবর আওয়ামী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে নেই। মানুষকে ভয় পাইয়ে দেয়ার নতুন প্রকল্প হল এই বন্দুকযুদ্ধ।

তিনি বলেন, রমজান মাসে কর্দমাক্ত খানাখন্দে ভরা রাস্তাঘাট, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আইনশৃঙ্খলার করুণ পরিণতিতে দেশের বেহাল অবস্থা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই নতুন এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

দেশের প্রচলিত আইনেই মাদক প্রতিরোধ সম্ভব উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা মাদকবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে নই। অপরাধীদের গ্রেফতার করুন, আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করুন, আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন। কিন্তু তা না করে সারা দেশে বন্দুকের অপব্যবহারে মানুষ হত্যা কোনো সভ্যসমাজের কাম্য হতে পারে না।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ২২, ২০১৮)