কুমিল্লার মামলায় খালেদার জামিন আদেশ রবিবার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কুমিল্লায় বাসে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের ওপর শুনানি শেষে হয়েছে। রবিবার এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।
অন্যদিকে কুমিল্লার আরো একটি ও নড়াইলের মামলাটি শুনানির জন্যও একইদিন কার্যতালিকায় থাকবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার কুমিল্লার বাসে অগ্নিসংযোগ করে হত্যা মামলার শুনানি শুরু হয়ে সোয়া ৩টার দিকে শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল তাঁর অসমাপ্ত বক্তব্য শেষ করেন। এরপর আদালত রবিবার এ মামলার আদেশের জন্য এবং অপর দুটি মামলা শুনানির জন্য ওই একই দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি মো. আসাদুজ্জামান ও জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তৃতীয় দিনের মতো এ দুটি মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল অন্য একটি মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়ায় খালেদা জিয়ার দুই মামলার শুনানিতে তিনি অংশ নিতে পারেননি।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এসব তথ্য জানান।
মঙ্গলবার এ দুই মামলায় শুনানি শুরু হয়। বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিন শুনানির দিন ধার্য হয়। দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন তাঁর অসমাপ্ত বক্তব্য শেষ করেন।
২০ মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন কুমিল্লার দুটি নাশকতার মামলা ও নড়াইলের মানহানির একটি মামলায় জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু কার্যতালিকায় শুধু কুমিল্লার হত্যা মামলা ও নড়াইলের মামলাটি একসঙ্গে আনা হয়।
অপরদিকে, কুমিল্লার বিস্ফোরক মামলাটিও বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য রাখা ছিল।
এদিকে, ঢাকার মানহানি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলার জামিনের জন্য আবেদন করেন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের দুটি পৃথক অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি। এ নিয়ে পাঁচটি মামলার জামিনের আবেদন করা হল।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের অনুমতি নিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এ আবেদন করেন। এ দুটি মামলাও আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।
১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। জামিন পেলেও তিনি মুক্তি পাননি।
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ মামলার অপর আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাঁদের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানাও করা হয়।
রায়ের পর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ২৪, ২০১৮)