এবার টেকনাফের কাউন্সিলরসহ ২ জন 'বন্দুক যুদ্ধে' নিহত
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: শনিবার গভীর রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নোয়াখালিয়াপাড়া এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত মো. একরামুল হক (৪৬) টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বলে র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অপরদিকে রাত ১টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন ‘মাদকব্যবসায়ী’ নিহত হয়েছেন।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেড়টার দিকে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থলে একরামুলের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
টেনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একরাম ‘ইয়াবার শীর্ষ গডফাদার’। তার বিরুদ্ধে মাদকের অনেক মামলা রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শ্যুটার গান, ছয় রাউন্ড গুলি ও পাঁচটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন বলেন, নোয়াখালিয়াপাড়ায় একটি মাদক চক্রের লোকজন ইয়াবার চালান লেনদেনের জন্য জড়ো হয়েছে খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক চক্রের লোকজন এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে এক পর্যায়ে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
এতে মাদক চক্রের লোকজন পিছু হটে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
সীতাকুণ্ডে নিহত রায়হানউদ্দিনের (২৮) বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি ও মাদকের সাতটি মামলা রয়েছে বলে সীতাকুণ্ড থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হাসান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ইয়াবাপাচারের খবরে’ পুলিশের একটি দল রাত ১টার দিকে সীতাকুণ্ডের নড়ালিয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযানে যায়।
“সেখানে ইয়াবা পাচারকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রায়হানের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
রায়হানের তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচ হাজার ইয়াবা, ২০ রাউন্ড গুলি ও দুটি ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত রায়হানের বাড়ি সীতাকুণ্ডের গোলবাড়িয়া এলাকায় বলে জানান ওসি।
মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত বন্দুকযুদ্ধে গত ১৯ মে রাত থেকে এ কয়দিনে অন্তত ৬৭ জনের মৃত্যু হল দেশের বিভিন্ন জেলায়।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/মে ২৭, ২০১৮)