দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কুমিল্লা ও নড়াইলের দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

রবিবার (২৭ মে) দুপুর ২টার দিকে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। 

বিচারপতি মো. আসাদুজ্জামান ও জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি হবে।

মামলা দুটির মধ্যে একটি কুমিল্লায় করা হত্যা মামলা। অপরটি মানহানির অভিযোগে নড়াইলে করা মামলা।

এর আগে এ দুটিসহ মোট তিনটি মামলায় খালেদা জিয়া হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

এর মধ্যে কুমিল্লার একটি হত্যা মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় ৭ যাত্রী মারা যান এবং আরও ২৫-২৬ জন গুরুতর আহত হন।

ঘটনার পর দিন বিকাল ৩টায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পরে এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। বিচারকালে দায়রা জজ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।

সেই জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ জুন দিন ধার্য রাখা হয়েছে। কিন্তু এ অবস্থায় গত ৫ এপ্রিল এ মামলায় খালেদা জিয়াকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। তাই ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

এ মামলায় জামিন আবেদনে যুক্তি দেখানো হয়েছে- মামলার তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু তাদের কেউ জবানবন্দিতে খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ করেননি। এছাড়াও খালেদা জিয়া অসুস্থ, বয়স্ক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় হাইকোর্টে তার জামিন চাওয়া হয়েছে।

নড়াইলে মানহানি মামলা ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। এ অভিযোগে একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে মানহানির মামলা করা হয়।

স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। নড়াইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলায় চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে তার আইনজীবীরা আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক বাদীর উপস্থিতিতে জামিন শুনানির জন্য গত ৮ এপ্রিল শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছিলেন।

এর পর নির্ধারিত দিনে শুনানি নিয়ে পুনরায় জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৫ মে দিন ধার্য রেখেছেন আদালত। এ অবস্থায় চলমান মামলায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এ মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতে বলা হয়েছে- দণ্ডবিধির ৫০০, ৫০১ ও ৫০২-এর অধীনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

কিন্তু এই তিন ধারার মামলায় জামিনযোগ্য। তা ছাড়াও খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বয়স্ক একজন নেত্রী। তাই এসব যুক্তিতে এ মামলায় জামিন চেয়েছেন তার আইনজীবীরা।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ২৭, ২০১৮)