‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা শত ছাড়াল
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : রাজধানীসহ সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এবং নিজেদের বিরোধে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা একশ ছাড়িয়েছে।
সোমবার (২৮ মে) দিনগত রাত থেকে মঙ্গলবার (২৯ মে) ভোর পর্যন্ত একাধিক কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় রাজধানীসহ সারাদেশে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আর ১৭ মে রাত থেকে এ ক’দিনে বিভিন্ন জেলায় মোট নিহতের সংখ্যা ১০৯ জন।
নিহতদের মধ্যে কুমিল্লা, কুষ্টিয়া ও যশোরে দু’জন করে এবং ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরগুনা ও সাতক্ষীরায় একজন করে নিহত হয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্যে, তাদের অভিযানের সময় এবং মাদকের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দু’দলের গোলাগুলিতে তারা নিহত হয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, নিহতরা সবাই চিহ্নিত মাদক কারবারি। প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
ঢাকা : রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখানে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সুমন ওরফে খুকু সুমন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারসহ দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার রাত সোয়া ১২টায় দিকে দক্ষিণখান থানাধীন আশিয়ান সিটির বালু মাঠে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তার নামে দক্ষিণখান থানায় ৫টি মাদকের মামলা রয়েছে।
দক্ষিণখান থানা পুলিশ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এঘটনায় দুই আহত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আল আমিন ও কনস্টেবল সাখাওয়াতকেও কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানা পুলিশ আশিয়ান সিটি মাঠের সামনে মাদক উদ্ধারে গেলে একদল মাদক ব্যসায়ী পুলিশের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। এসময় দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশও পাল্টাগুলি ছুঁড়লে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে সুমনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে দক্ষিণখান থানার এসআই নান্নু রাত পৌনে ২টার দিকে গুলিবিদ্ধ সুমনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা, একটি ওয়ান শুটারগান পিস্তল, ৪টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মোকাদ্দেশ হোসেন (৩০) ও ফজলুর রহমান টাইটেল (৫০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে দৌলতপুরের শিয়ালা মাঠে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
দৌলতপুর থানার (ওসি) শাহ দারা খান গণমাধ্যমকে জানান, মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে একদল মাদক ব্যবসায়ী দৌলতপুরের শিয়ালা মাঠে অবস্থান করছে এমন গোপন খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে করে গুলিছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টাগুলি চালালে কিছু ‘বন্দুকযুদ্ধ‘ দুই মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হলে তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানতে পারে বন্দুকযুদ্ধে নিহত মোকাদ্দেশ হোসেন ও ফজলুর রহমান টাইটেল শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। এরা পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হলে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ১টি বন্দুক, ৩ রাউন্ড গুলি, একটি পিস্তলের ম্যাগজিনসহ ২৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মাদকব্যবসায়ী মোকাদ্দেশ হোসেন দৌলতপুর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকার মৃত রেজাউল হকের ছেলে ও ফজলুর রহমান টাইটেল উপজলার প্রাগপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।
কুমিল্লা : কুমিল্লার মুরাদনগরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী লিটন ওরফে কানা লিটন (৩৬) ও আবদুল বাতেন (৩৪) নিহত হয়েছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও ৪’শ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ । এ ঘটনায় পুলিশের তিন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় মুরাদনগর উপজেলার পূর্ব নবীপুর ইউনিয়নের গুঞ্জর এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
নিহত লিটন ওরফে কানা লিটন মুরাদনগরের কৈয়ার পাথর এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে। নিহত অপর মাদক ব্যবসায়ী বাতেন বাখরনগরের শহীদ মিয়ার ছেলে।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মঞ্জুর আলম রাতে গণমাধ্যমকে জানান, নিহত লিটন ও বাতেন মুরাদনগরসহ আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তিনি জানান, বাতেনের বিরুদ্ধে ৮টি এবং লিটনের বিরুদ্ধে ৭টি মাদক মামলা রয়েছে। মঞ্জুর আলম আরো জানান, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় মুরাদনগর উপজেলার পূর্ব নবীপুর ইউনিয়নের গুঞ্জর এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধকালে পুলিশ ৫৩ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে বাতেন ও লিটনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত তিন পুলিশ সদস্য হলেন, মুরাদনগর থানার এসআই মোজাম্মেল, এএসআই রোকন, এএসআই মাসুদুর। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি মঞ্জুর।
যশোর : যশোরে দু'দল মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুইটি পিস্তল, সাত রাউন্ড গুলির খোসা ও ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ মে) দিনগত রাত ৩টার দিকে যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার মন্ডলগাতী গ্রামের জাহান আলীর ছেলে আছর আলী (৫৬) ও শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে মানিক (২৬)।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা গণমাধ্যমকে জানান, রাতে চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকায় দু’দল মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ দু’জনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে আছর আলীর বিরুদ্ধে ১১টি এবং মানিকের বিরুদ্ধে ৯টি মাদক মামলা রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হারুন (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ মে) ভোরে উপজেলার শীতলপুর এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।
নিহত হারুন হরিপুর উপজেলার শীতলপুর এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ হরিপুর উপজেলার শীতলপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালান আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী হারুনের মরদেহ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল কুদ্দুস গণমাধ্যমকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিপুর উপজেলার শীতলপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে গুলি বিনিময়কালে হারুন নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। তার বিরুদ্ধে হরিপুর থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।
ভালুকায় : ময়মনসিংহের ভালুকায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মিজান (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন, তিনটি গুলির খোসা, ১টি রামদা ও ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ মে) দিনগত রাত সোয়া ২টার দিকে উপজেলার পাড়াগাঁও চটনপাড়া সামাদ ফকির বাড়ি এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। মাদক ব্যবসায়ীর মিজানের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও ডাকাতিসহ ৯ টি মামলা রয়েছে।
নিহত মিজান উপজেলার দক্ষিণ কাঁচিনা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহ আলম আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ভাগাভাগি করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্য ও ভালুকা মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাথারি গুলি চালান আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মিজানকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আখাউড়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় মাদক ও ডাকাতিসহ আট মামলার আসামি জনি মিয়ার (৩০) গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় পাইপগান, ১টি কার্তুজ, ২টি ছোরা, ১টি চাপাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ মে) দিনগত রাত ২টার দিকে পৌর শহরের খালাজোড়া এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জনি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার খাইয়ার গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে।
এদিকে, পুলিশের দাবি ডাকাতির মালামাল ভাগাভাগির বিরোধে সহযোগীদের গুলিতে জনি নিহত হয়েছেন।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদারগণমাধ্যমকে জানান, রাতে ডাকাতির মালামাল ও মাদক ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে জনি ও তার সহযোগীদের মধ্যে ‘গোলাগুলি’র ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পৌঁছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জনির মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত জনির বিরুদ্ধে মাদক, ডাকাতি, ও চোরাচালানসহ আখাউড়া ও অন্যান্য থানায় ৮টি মামলা রয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় মাদক ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে ‘গুলিবিনিময়ে’ ইয়াবা সম্রাট আনিছুর রহমান নিহত হয়েছেন।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার, দুই রাউন্ড গুলি ও ৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ মে) দিনগত রাত সোয়া ২টার দিকে উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের চিতলা গ্রামে এ গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
নিহত আনিছুর উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত সুরত আলীর ছেলে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ গণমাধ্যমকে জানান, রাতে দুটি গ্রুপ চিতলা এলাকায় মাদক ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় গুলিবিনিময়ের শব্দ শুনে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইয়াবা সম্রাট আনিছুরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, দুই রাউন্ড গুলি ও ৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আনিছুরের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে।
বরগুনা : বরগুনায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ফিরোজ মৃধা নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কুমড়াখালি এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
ফিরোজ মৃধা বেতাগী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মৃত হাসেম মৃধার ছেলে।
র্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুরত আলম গণমাধ্যমকে জানান, বেতাগী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক কারবারিরা সংগঠিত হয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কুমড়াখালী এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব।
উপস্থিতি টের পেয়ে ফিরোজ ও তার সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে।
পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে ফিরোজের গুলিবিদ্ধ লাশ এবং একটি রিভলবার, একটি শুটারগান, রিভলবারের দুই রাউন্ড গুলি ও বন্দুকের দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে টাওয়ার সুমন (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের শান্তির বাজার এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
টাওয়ার সুমন আড়াইহাজার উপজেলার বাসিন্দা। এ সময় মজিদ (৩৫) নামে এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মজিদ একই উপজেলার বাসিন্দা।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকায় ১০/১২ জনের একটি ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল- এমন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায়।
উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ডাকাতেরা। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে টাওয়ার সুমন মারা যান।
বন্দুকযুদ্ধে নিজেসহ সোনারগাঁ থানার চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ২৯, ২০১৮)