একদলীয় শাসনের শেষ রক্ষা হয়নি: গয়েশ্বর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ১৯৭২ সালে বিরোধী মতকে হত্যার পরও একদলীয় শাসনের শেষ রক্ষা হয়নি।
ঠিক তখনই জনগণের সামনে আবার আসেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। ৭ নভেম্বর সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আজ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র তো দূরের কথা, একদলীয় গণতন্ত্রও নেই। আছে শুধু এক ব্যক্তির গণতন্ত্র। কারণ র্যাবের ডিজি বলেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, ওবায়দুল কাদের বলেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, কী নির্দেশ? সেটি হলো মানুষ মারার নির্দেশ। মাদকের ভয়াবহতা অনেক বেশি, আমরা চাই সেটি নির্মূল হোক। কিন্তু এর মূল কারবারি হচ্ছে পুলিশ, এমপিরা; আগে তাদের বিচারের আওতায় আনুন। কিন্তু আপনার পুলিশকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার সেই সাহস কি আপনার আছে? আমরা সেটি চাই না। কারণ, হত্যা কখনো কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ধারণা ছিল জিয়া না থাকলে বিএনপি থাকবে না। সে চিন্তা থেকে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এখন চিন্তা খালেদা জিয়া না থাকলে বিএনপি থাকবে না, তাই তাকে আজ কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তাই তাকে মুক্ত করতে হবে। তাকে মুক্ত করার আগে কে নির্বাচনে গেল, কে গেল না এসব নিয়ে চিন্তার কিছু নাই। যত সময় গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে না, ততক্ষণ বিএনপি আগামী নির্বাচনে যাবে কি যাবে না, সে বিষয়ে আলোচনার কোনো অবকাশ আছে বলে মনে করি না।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে রাজপথে আন্দোলনের কোনো বিক্ল্প নেই। আইনজীবীরা কী বলল না বলল, সেটা নিয়ে বসে থাকলে হবে না।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার কর্মী হবে আপসহীন। কারণ খালেদা জিয়া কারো কাছে মাথা নত করেননি। তার কর্মীরাও করতে পারে না। আমরা হাসিনার চোখ রাঙানি দেখে আত্মহত্যা করতে পারি না। তাই এখন আমাদের কাছে কোনো সময় নাই। সময় একটাই সেটি হলো কঠোর আন্দোলনের।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সভাপতিত্ব করছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
(দ)