মাদকবিরোধী অভিযানে সরকারের ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রমাণিত হয়েছে: ফখরুল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ টেকনাফের ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরাম হত্যার অডিও প্রকাশের মধ্যে মাদকবিরোধী অভিযানে সরকারের ‘ভিন্ন উদ্দেশ্য’ থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে এক ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা এই অভিযানকে প্রথমেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছি। এই অভিযান চালানো হয়েছে সম্পূর্ণভাবে একটি ভিন্ন উদ্দেশ্যে, একটি ভিন্ন কারণে।’
‘আমরা যেটা আশঙ্কা করেছিলাম যে, এটাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে কিনা। আজকে এই অডিওর মধ্য দিয়ে এটা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে, এই অভিযানের মধ্য দিয়ে সরকার জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে প্রবাহিত করতে চায়।’
মাদক নির্মূলে দেশজুড়ে চলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে শতাধিক মৃত্যু ঘটেছে, যাকে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলছেন মানবাধিকারকর্মীরা।
অন্যদিকে সমালোচনার মুখেও এই অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা এসেছে সরকারের কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে।
এর মধ্যেই টেকনাফের যুবলীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামের পরিবার অভিযোগ তুলেছে, তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বক্তব্যের সপক্ষে মৃত্যুর আগে একরামের সঙ্গে টেলি কথপোকথনের একটি অডিও টেপও প্রকাশ করেছে তার পরিবার, যা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।
মির্জা ফখরুল সরকারের এমন দমননীতির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘তাদের যে দুঃশাসন, তাদের যে অন্যায়-অত্যাচার-হত্যা কল্পনা করা যায়? একটা স্বাধীন মুক্ত দেশে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে মারা হচ্ছে তার কোনো বিচার হবে না। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড- এ কোন দেশে বাস করছি আমরা?
‘এটা কী সেই জঙ্গলের মধ্যে, জঙ্গি আইন এখানে আছে। এগুলোকে প্রতিরোধ করে আমাদের দাঁড়াতে হবে। আজকে আমাদের পথে নামতে হবে, পথেই এদের পরাজিত করতে হবে।’
ধানমণ্ডির ফখরুদ্দিন কনভেনশন সেন্টারে রংপুর মেডিকেল কলেজ জাতীয়তাবাদী প্রাক্তন ছাত্র কল্যাণ পরিষদ এই ইফতারের আয়োজন করে।
খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে উচ্চ আদালতে তার জামিন স্থগিত করার কথা তুলে ধরেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘দেশকে ধ্বংস করে দেবার যে ষড়যন্ত্র, দেশকে একেবারে দুর্বল করার যে ষড়যন্ত্র, সেই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হলে অবশ্যই জাতীয় ঐক্য ও জনগণের ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। এই সম্মিলিত ঐক্যের মাধ্যমে যে দানব আমাদের ওপর চেপে বসেছে তাকে একটি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আজিজুল হক, সহসভাপতি ফরহাদ হালিম ডোনার, কোষাধ্যক্ষ মোস্তাক রহিম স্বপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ০২, ২০১৮)