ওয়ালীউল্লাহর সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে মামলা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার ছেলে ইরাজ ওয়ালীউল্লাহ।
মামলার আসামিরা হলেন- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর মামাতো ভাই এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি কামাল জিয়াউল ইসলাম ওরফে কে জেড ইসলাম (৮২), তার স্ত্রী ও নির্মাণ বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলাম (৬৯) এবং ছেলে রায়হান কামাল (৩২)।
রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মামলাটি করেন ইরাজ ওয়ালীউল্লাহ। তার জবানবন্দি গ্রহণ করে সিআইডিকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ মারা যাওয়ার পর তার গুলশানের জমি স্ত্রী আজিজা নাসরিন (আন-মারি ওয়ালীউল্লাহ), ছেলে ইরাজ ওয়ালীউল্লাহ এবং মেয়ে সিমিন ওয়ালীউল্লাহর নামে নামজারি করা হয়। তারা সবাই প্রবাসে থাকায় ওই সম্পত্তি দেখাশোনার করার দায়িত্ব দেয়া হয় সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর মামাতো ভাই কামাল জিয়াউল ইসলামকে। তাকে এই সম্পর্কিত একটি আম-মোক্তারনামাও দেয়া হয়।
আরও বলা হয়েছে, আমা-মোক্তারনামায় মালিকের স্বার্থ যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার কথা বলা থাকলেও স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই সম্পদ আত্মসাৎ করেন জিয়াউল ইসলাম। নিজস্ব প্রতিষ্ঠান নির্মাণ বিল্ডার্সকে দিয়ে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন তারা।
ওই আম-মোক্তারনামা পাওয়ার আগে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে আরেকটি আম-মোক্তারনামা তৈরি করেন উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে, এটি ব্যবহার করে এই জমি ও ভবন বন্ধক দিয়ে ঋণ নেন এবং পরে আবার তা ফিরিয়ে দেন তারা। অথচ জমি ও ভবনের প্রকৃত মালিকদের দেয়া আম-মোক্তারনামায় এই ধরনের ক্ষমতা জিয়াউল ইসলামকে দেয়া হয়নি।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ‘লালসালু’ এবং ‘কাঁদো নদী কাঁদো’র মতো জনপ্রিয় উপন্যাস লিখেছেন। তিনি ১৯৫০ ও ১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তান সরকারের কূটনৈতিক কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত প্যারিসে পাকিস্তান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্যারিসে ইউনেস্কোর প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজ করেন। ওই বছর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি প্রবাসে থেকেই বাংলাদেশে স্বাধীনতার পক্ষে প্রচার চালান। ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর ৪৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন স্বনামধন্য এই কথাসাহিত্যিক।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ০৩, ২০১৮)
sharp