দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আদালতের নির্দেশ অনুসারে এক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরির মেয়াদ এক বছর না বাড়ানোয় চার সচিবসহ আটজনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালক, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক, ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে ওই পিআইও’র জায়গায় নতুন করে একজনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তিও স্থগিত করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৫ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট এ রুল জারি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এআরএম কামরুজ্জামান কাকন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

পরে ব্যারিস্টার আলতাফ হোসেন বলেন, ‘ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার পিআইও সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকরিতে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম বহাল থাকে। তবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ানোসহ অন্যান্য সুযোগ- সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন সেটি তাকে দেওয়া হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় ৩১ মে স্বাভাবিকভাবে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই সিরাজুল ইসলাম হাইকোর্টে একটি রিট করেন। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ মে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটকারী সিরাজুল ইসলামকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করে চাকরির মেয়াদ এক বছর (৬০ থেকে ৬১ বছর) বাড়ানো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেন।’

আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আদালতের সেই রায় (২৪ মে) সত্ত্বেও ৩০ মে ময়মনসিংহের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সিরাজুল ইসলামের স্থলে পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পিআইও মো. আব্দুল বাসেদকে ১ জুন থেকে মুক্তাগাছার পিআইও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়।’

কিন্তু আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করায় হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করেন সিরাজুল ইসলাম। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এই আদেশ দেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ০৫, ২০১৮)