দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাবলিকলি ট্রেডেড, অনুমোদিত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং মোবাইল অপারেটদের করপোরেট কর হার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেন।

এদিন তিনি ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বলে থাকেন আমাদের করপোরেট করহার খুব বেশি। কিন্তু, কথাটি ঠিক নয়। পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির বিদ্যমান করহার ২৫ শতাংশ, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় যা বেশ কম।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের করহার বৈশ্বিক গড়হারের (২৪.২৯ শতাংশ) সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। তবে ব্যাংকিং খাতের করহার কিছুটা বেশি হওয়ায় এবার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার ২.৫ শতাংশ হ্রাস করার প্রস্তাব করেছি। এতে এ খাত থেকে রাজস্ব কিছুটা কমলেও বিনিয়োগকারীদের প্রতি ইতিবাচক বার্তা যাবে। এর বাইরে অন্যান্য কোম্পানি করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করেছি।’

মুহিত বলেন, ‘মোটামুটিভাবে বর্তমান সর্বোচ্চ করহার হবে বাস্তবে ৪০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় হারটি হবে ৩৭.৫ শতাংশ। একমাত্র তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী ও নন-পাবলিকলি ট্রেডেড মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিরা এর চেয়ে উচ্চহারে কর দেবেন।’

প্রস্তাবিত করহার নিম্নে দেওয়া হলো—
পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির কর হার ২৫ শতাংশ বিদ্যমান রাখা হয়েছে। তবে, পাবলিকলি ট্রেডেড- ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকার কর্তৃক ২০১৩ সালে অনুমোদিত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর হার ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৭.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া নন-পাবলিক ট্রেডেড কোম্পানির কর হার ৩৫ শতাংশ, মার্চেন্ট ব্যাংক ৩৭.৫ শতাংশ, সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি ৪৫ শতাংশ, লভ্যাংশ আয় ২০ শতাংশ বিদ্যমান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

তবে, নন-পাবলিকলি ট্রেডেড- ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর ৪২.৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুন ০৭, ২০১৮)