গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনি হত্যা বন্ধ হচ্ছে না
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে চার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ছয় শতাধিক আহত হয়েছে।
শুক্রবার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা সীমান্তে জড় হয়ে বিক্ষোভ এবং জ্বালাও পোড়াও শুরু করলে তাদের আটকাতে ইসরায়েলি সেনারা টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে এবং এক পর্যায়ে গুলি ছোড়ে।
ইসরায়েলি সেনাদের ছোড়া টিয়ার গ্যাসের একটি শেল হাতেম আবু সাবলা নামে এক বিক্ষোভকারীর নাকের পাশ দিয়ে চামড়া ভেদ করে গালের ভেতর ঢুকে যায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক আলোকচিত্রী আবু সাবলার ঠিক ওই মুহূর্তের ছবি তুলতে সক্ষম হন।
ছবিতে দেখা যায়, আবু সাবলার গালের ভেতর ঢুকে পড়া টিয়ার গ্যাসের শেল থেকে ধোঁয়া বেরচ্ছে।
তার টি-শার্ট রক্তে লাল হয়ে উঠছে। একটু পরপরই ২৩ বছরের এই তরুণ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
আবু সাবলাকে গাজার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অস্ত্রোপচার করে তার মুখের ভেতর থেকে টিয়ার গ্যাসের শেলটি বের করা হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকরা। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
এদিন নিহতদের মধ্যে তিনজন তরুণ এবং অন্যজন ১৫ বছরের এক কিশোর।
প্রায় ৬২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শতাধিক গুলিবিদ্ধ বলে জানান গাজার চিকিৎসকরা।
নিজেদের ভূমিতে ফেরত যাওয়ার অধিকারের দাবিতে ৩০ মার্চ থেকে গাজা সীমান্তে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে তাতে এখন পর্যন্ত ১২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
সীমান্তে বিক্ষোভ থামাতে ইসরায়েলের আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার আন্তর্জাতিক বিশ্বে সমালোচিত হলেও বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের উপর তেমন কোনো চাপ প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না।
গাজা সীমান্তের সংকট সমাধানে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে কুয়েত গত সপ্তাহে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করে।
ওই প্রস্তাব ভোটে অনুমোদন পাওয়ার মত সমর্থন পেলেও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ‘ভিটো’ দিয়েছে।
এ নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী বুধবার সাধারণ পরিষদে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ০৯, ২০১৮)