কক্সবাজার প্রতিনিধি: ভারী বর্ষণে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বেশ কয়েকটি আশ্রয় শিবিরে বসবাসরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে।

এতে দুই শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবার মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। মঙ্গলবার (১২ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা বর্ষণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, টানাবর্ষণে টেকনাফের হোয়াইক্যং পটুবনিয়া, সালবাগান, লেদা ও মৌচনি রোহিঙ্গা শিবিরে পানি প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে অনেক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে এবং অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। এছাড়া, উখিয়ার বালুখালী, জামতলী ও মধুরছড়া শিবিরে অর্ধশতাধিকের মতো রোহিঙ্গা পরিবারের ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে এসব শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

৮ মাস আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে উখিয়ার একটি রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেন আবদুর রহিম।

তিনি বলেন, ‘বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় আমরা খুব বিপাকে পড়েছি। পাহাড়ে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে আগেই। এরমধ্যে আমার ঘরও রয়েছে। পরিবারের আট সদস্য নিয়ে এখন কোথায় যাব বুঝতে পারছি না।’

হোয়াইক্যং পটুবনিয়া রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা আবদুল হামিদ বলেন, ‘এ শিবিরে পাহাড়ের পাশে থাকা শতাধিক রোহিঙ্গার ঘর ভেঙেছে। তারা এখন আশ্রয়ের জায়গা খুঁজছে।’

উখিয়ার কুতুপালং-২ রোহিঙ্গা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মো. নুর বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা ভারী বৃষ্টিপাতে এ শিবিরের প্রায় অর্ধশতাধিক ঝুপড়িঘর ভেঙে গেছে। এছাড়া, বালুখালী, জামতলী ও মধুরছড়া রোহিঙ্গা শিবিরের আরও অর্ধশতাধিকের মতো ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে রোহিঙ্গারা ঘরহারা হয়ে পড়েছে।

উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা শিবিরের অনেক ঘর বিধ্বস্ত ও পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। কোনও কোনও জায়গায় রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর ভেঙে গেছে। এর তালিকা করা হচ্ছে।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ১২, ২০১৮)