ভাবগাম্ভীর্যে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : যথাযথ পবিত্রতা, মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা লাইলাতুল কদর পালন করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ জুন) ২৬ রমজানের দিবাগত রাত ছিল লাইলাতুল কদর। হাজার মাসের চেয়ে উত্তম ও পূর্ণময় এ রজনীতে ইবাদত বন্দেগীর জন্য ইফতার ও মাগরিবের নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ মসজিদে জমায়েত হতে শুরু করেন। মুসলিম নারীরা ঘরে ঘরে এ রাতে ইবাদতে মশগুল থাকেন।
মুসলমানদের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিশেষ রহমত এবং অনুগ্রহের রজনী হচ্ছে লাইলাতুল কদর। রমজান মাসের এ রজনীতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাহে ওয়া সাল্লাম এর প্রতি পবিত্র কুরআন নাযিল শুরু হয়েছিল। এ রাতের ইবাদত বন্দেগীকে নাজাতের উছিলা এবং হাজার মাসের ইবাদতের চাইতে উত্তম বলে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাহে ওয়া সাল্লাম এ রাতে নিজে ইবাদতে মশগুল থাকতেন এবং তার সাহাবীদেরও বেশি বেশি ইবাদত করার নির্দেশ দিতেন। রমজান মাসের ২১ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে বেজোড় সংখ্যার রাতেই পবিত্র লাইলাতুল কদর। তবে ২৭ রমজান অর্থাত্ ২৬ রমজান দিবাগত রাতকেই কদরের রাত হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমসহ দেশের প্রতিটি মসজিদে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি জমায়েত হয়ে রাতভর ইবাদত বন্দেগী করেন। কবরস্থানে জিয়ারতকারীদের ভিড় ছিল সারারাতই। রাতভর ইবাদত বন্দেগীর মধ্যে ছিল কোরআন খানি, নামাজ, জিকির, দোয়া মাহফিল, দান খয়রাত, বয়ান ও বিশেষ দোয়া। রোজাদার মুসলমানগণ ক্ষমার শেষ সুযোগ মনে করে এ রাতে মুনাজাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
দেশের প্রতিটি মসজিদে ও মুসলিমদের ঘরে ঘরে এশা ও তারাবী নামাজ শেষে শুরু হয় কদরের বিশেষ ইবাদত-বন্দেগী। ফজর নামাজের শেষে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে চোখের পানিতে আল্লাহর অনুগ্রহ কামনার মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই পবিত্র রজনীর সমাপ্তি ঘটান। বায়তুল মোকাররমসহ দেশের প্রতিটি মসজিদেই আখেরি মুনাজাতে দেশ ও জাতির শান্তি সমৃদ্ধি এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য শান্তি কামনা করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুন ১৩, ২০১৮)