দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : যুদ্ধবিদ্ধস্ত লিবিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে বিপুল সংখ্যক ভারী অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি দেশটির সরকারের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। সরকার মনে করছে, দেশটির সাবেক যোদ্ধাদের পুরোপুরি নিরস্ত্র করা খুবই কঠিন হবে। খবর আলজাজিরার।

দেশটির রাজধানী ত্রিপোলিতে শুক্রবার একটি সংঘর্ষে বিদ্রোহীদের বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র, মার্টারসহ বেশ কিছু ভারী অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে। একঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘর্ষে কমপক্ষে একজন মারা গেছে। আহত হয়েছে ১২ জন।

ধারণা করা হচ্ছে দুই বছর আগে গাদ্দাফির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা অস্ত্রগুলোই নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে ব্যবহার করছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। ওই সময় ন্যাটোসহ বিদ্রোহীদের সহয়তাকারী বিদেশি শক্তিগুলো তাদের হাতে এসব ভারী অস্ত্র সরবরাহ করেছিল।

এদিকে গত এক মাসের মধ্যে সর্বশেষ এই সংঘর্ষটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ বলে মনে করা হচ্ছে। দেশটির একটি সসস্ত্র দলের নেতা নুরি ফ্রাইওয়ানের মৃত্যুর জের ধরে ত্রিপোলিতে তার অনুসারীরা এ সংঘর্ষ শুরু করে। এর আগে মঙ্গলবার ফ্রা্ইওয়ান পূর্ব ত্রিপোলির একটি তল্লাশিচৌকিতে অপর একটি সসস্ত্র গ্রুপ সওগ আল জমার যোদ্ধাদের গুলিতে আহত হয়েছিলেন।

প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানায়, কয়েক ডজন সসস্ত্র লোক পশ্চিমের মিসারতা থেকে কয়েকটি পিকআপে করে রাজধানীতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র, রকেট চালিত গ্রেনেড ব্যবহার করে অপর একটি বিদ্রোহী গ্রুপের উপর হামলা চালায়।

(দিরিপোর্ট/এআইএম/এমডি/নভেম্বর ০৮, ২০১৩)