দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক; বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে ভোটের আগে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে হস্থান্তর করলে দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবেন। আজ শনিবার দুপুরে দলের নয়াপল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এতদিনে যথার্থই উপলব্ধি করেছেন, তাঁর এবং সরকারের প্রতি ভোটারদের আস্থা নেই। লুটপাট, দখল, ডাকাতি, ব্যাংকের টাকা তছরুপ, খুন, জখম, বেআইনি হত্যা, গুম, সন্ত্রাসীদের লালন-পালন, ভোট জালিয়াতি এবং একের পর এক ভোটারবিহীন নির্বাচন করাতে ভোটারদের আস্থা শূন্যের কোটায় চলে গেছে।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘এখন প্রধানমন্ত্রী আর একটু উপলব্ধি করতে পারলে দেশের গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক হবে। সেটি হলো, নিজে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। তাহলেই কেবল কিছুটা ভোটারদের আস্থা ফিতে আসতে পারে।’

রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখলে কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য হচ্ছে জনগণের মন ভুলিয়ে ক্ষমতায় এসে একদলীয় বাকশালের মাধ্যমে নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদ কায়েম করা।’

রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অকপটে সত্য কথাই বলেছেন। অবশ্যই বিএনপির মতো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না আওয়ামী লীগ। বিএনপি বহুদলীয় বিশ্বাস করে, আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশালে বিশ্বাস করে। বিএনপি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচরে নিশ্চয়তা দেয়, আওয়ামী লীগ ফেনী মার্কা নির্বাচন, হাজারী মার্কা নির্বাচন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনে বিশ্বাস করে। বিএনপি বহু দলভিত্তিক মতে বিশ্বাস করে, আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধ মতের লোকদের গুম করে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের ভোট কারচুপির সীলমোহর বানায়, বিএনপি কমিশনের স্বাধীন সত্ত্বা কখনোই ক্ষুণ্ন করেনি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রধান শর্ত আলোচনা ও সংলাপ, যা আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। বিএনপি সমঝোতার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অব্যাহত রাখায় বিশ্বাসী। আওয়ামী নেতারা শোনে কম, বলে বেশি। বিএনপি নেতারা বলে কম, শোনে বেশি।’

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ২৩,২০১৮)