বেলজিয়াম উড়িয়ে দিল তিউনিসিয়াকে
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: চার বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ডার্ক হর্স ছিল তারা। রাশিয়া বিশ্বকাপেও ডার্ক হর্স বলা হচ্ছে বেলজিয়ামকে। কারণটা ঠিকই বুঝিয়ে দিলেন লুকাকু-হ্যাজার্ডরা।
রোমেলু লুকাকু করলেন জোড়া গোল। তারপর যোগ দিলেন ইডেন হ্যাজার্ড। তিনিও করলেন জোড়া গোল। দুজনের এমন দাপটের দিনে বেলজিয়ামের বিপক্ষে তিউনিসিয়া উড়ে গেছে ৫-২ গোলে। অন্য গোলটি বাতশুয়াইয়ের।
গ্রুপ ‘জি’ থেকে বেলজিয়ামের এটি দ্বিতীয় জয়। গ্রুপ পর্বে দলটির শেষ ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ২৯ জুন। তার আগে ২৪ জুন পানামা খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এই ম্যাচটিতে ইংল্যান্ড জিতলেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত বেলজিয়ামের।
প্রথমার্ধে আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে জমজমাট লড়াই হয়। বেলজিয়াম ৫২ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রাখে। প্রথম ৪৫ মিনিটে তারা গোলের দিকে সাতটি শট নেয়। দুটি তিউনিসিয়া।
বেলজিয়াম-তিউনিসিয়া এই নিয়ে চারবার মুখোমুখি হল। আগের তিনটিতে উভয় দল একটি করে ম্যাচ জিতেছে। আর একটি ড্র ছিল।
বিশ্বকাপে দল দুটি এই নিয়ে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে। এর আগে দেখা হয়েছিল ২০০২ সালের গ্রুপ পর্বে। সেবার ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল ম্যাচটি।
শনিবার স্পার্টাক মস্কোয় ম্যাচের ছয় মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় বেলজিয়াম। ইডেন হ্যাজার্ড দলকে এগিয়ে দেন।
১৬তম মিনিটে রোমেলু লুকাকু ব্যবধান ২-০ করেন। মাঝমাঠের উপরে গোল থেকে ২০ গজ দূরে বল পান ড্রিস মের্টেন্স। বেশ খানিকটা পথ এগিয়ে বল দেন লুকাকুকে। আগুয়ান লুকাকু ভুল করেননি বল জালে জড়াতে।
১৮তম মিনিটে তিউনিসিয়া এক গোল শোধ দেয়। অধিনায়ক ওহাবি খাজরির ফ্রি-কিক থেকে ডিলন ব্রোন হেড করে বল জালে জড়ান।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে লুকাকু সহজতম একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন। ঠিক তার পরের মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করেন। ডি ব্রুইন যখন তাকে বল দেন, তখন গোলরক্ষকের সামনে তিনি একা। ঠিক সময় বলে গিয়ে নিচের দিকে টোকা মারেন। আগুয়ান গোলরক্ষকের হাতের উপর দিয়ে সেটি জালে চলে যায়। আসরে লুকাকুর এটি চতুর্থ গোল। চারটি গোল আছে পর্তুগালের রোনালদোরও।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫১তম মিনিটে ব্যবধান ৪-১ করেন বেলজিয়ামের প্রথম গোলদাতা অধিনায়ক ইডেন হ্যাজার্ড। বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে তাকে দূর থেকে বল দেন কেভিন ডি ব্রুইন। একদম নিখুঁত পাস ছিল। হ্যাজার্ড বুক দিয়ে বল নামিয়ে সামনে এগিয়ে যান। সঙ্গে লেগে ছিলেন দুজন। তাদের বিট করে আরও সামনে যেতে গোলরক্ষক বেরিয়ে আসেন। তাকে ডজ দিয়ে দারুণ দক্ষতায় ফাঁকা জালে বল পাঠিয়ে দেন।
শেষদিকেও বেলজিয়াম তাদের আক্রমণ অব্যাহত রাখে। সৃষ্টি হয় আরো কয়েকটি সুযোগ। পঞ্চম গোল আসে ৯০ মিনিটে। ইয়্যানিক ফেরেরা কারাস্কো দূর থেকে বল ফেলেন তিউনিসিয়ার বক্সে। বদলি খেলোয়াড় মিচি বাতশুয়াই উড়ন্ত বলে পা দিয়ে জাল খুঁজে নেন।
তিউনিসিয়া দ্বিতীয় গোল করে একদম শেষ মিনিটে। এই গোলের মালিক ওহাবি খাজরি।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ২৩,২০১৮)