দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ভারতের পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে চট্টগ্রামে অনিক হত্যা মামলার দুই আসামিকে। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গত শুক্রবার ফ্রি স্ট্রিট স্কুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় তাদের ২৫ জুন (সোমবার) বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার মহিউদ্দিন তুষার মামলার প্রধান ও এখলাসুর রহমান ১০ নম্বর আসামি।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মোস্তাইন হোসাইন জানান, দুই আসামি মামলার পরপর ভারতে চলে গিয়েছিল। কলকাতা পুলিশ তাদের ভিসা বাতিল করে আটক করেছে।

“তাদের যশোরের বেনাপোল সীমান্তে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিএমপির একটি দল তাদের নিয়ে বেনাপোল থেকে চট্টগ্রাম রওনা হয়েছে।”

তাদের চট্টগ্রামে আনার পর মঙ্গলবার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাইন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় তাদের বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গত ১৭ জুন রাতে চট্টেশ্বরী রোডের মুখে প্রকাশ্যে খুন করা হয় এম আর আনিক নামের ২৬ বছর বয়সী এক যুবককে।

এই ঘটনায় অনিকের বাবা মো. নাছির চকবাজার থানায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। যারা এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগকর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ঘটনার দিন পুলিশ জানিয়েছিল, ওইদিন বিকালে অনিকের ছোট ভাই রনিক ব্যাটারি গলিতে মোটর সাইকেল নিয়ে ঢোকার সময় জোরে হর্ন দেয়। এ নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বাকবিতন্ডা ও মারামারি হয়। ওই সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

ওইদিন কোতায়ালি থানার ওসি মো. মহসিন জানিয়েছিলেন, ওই এলাকার তুষার, ইমনসহ ১০-১২ জন জোটবদ্ধ হয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টেশ্বরী মোড়ে আসেন। সেখানে অনিকদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় অনিকের বাবা নাসিরও সেখানে ছিলেন। এক পর্যায়ে অনিককে ছুরিকাঘাত করে তারা।

কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মনসুরের দাবি, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন নেতার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে তা ফেইসবুকে প্রচার করে বিভিন্ন জনের কাছে নিজেদের ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা বলে পরিচয় দেয়।

হামলাকারীরা নিজেদের যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে দাবি করলেও স্থানীয় কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিনের ভাষ্য, তারা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এলাকায় তুষারের নেতৃত্বে তারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে বেড়ায়।
( দ্য রিপোর্ট/টিআইএম/২৫জুন ২০১৮)