দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: রোনালদোর পেনাল্টি মিস। সেই সঙ্গে ম্যাচজুড়ে ধীরগতির আক্রমণ। ইরানের বিপক্ষে পর্তুগালের আটকে যাওয়ার সব উপাদানই ছিল। কিন্তু রক্ষা করেছেন রিকার্ডো কুয়ারেসমা। দূরপাল্লার শটে দেখার মতো এক গোল করে দলকে ১-১ গোলের ড্র এনে দিয়েছেন। ইরানও গোল পায় পেনাল্টি থেকে।

অন্য ম্যাচে স্পেন মরক্কোর বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করায় বি গ্রুপ থেকে গোল ব্যবধানে এগিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন। ড্র করেও দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া পর্তুগাল রানার্সআপ। কেননা ইরানের পয়েন্ট হল ৪। স্পেনের ৫, পর্তুগালের ৫। আর মরক্কোর ১। নকআউটে রোনালদোদের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে। স্পেনকে লড়তে হবে রাশিয়ার বিপক্ষে।

পর্তুগাল এদিন ৪-৪-২ ফর্মেশনে শুরু করে। আক্রমণে ডানদিকে রোনালদো। আরেক পাশে সিলভা। রোনালদোর নিচে জোয়াও মারিও। সিলভার নিচে কুয়ারেসমা। পর্তুগাল শুরু করে ৪-৫-১ ফর্মেশনে।

প্রথম ৩২ মিনিটে দারুণ দাপট দেখায় পর্তুগাল। গোলের দিকে মোট পাঁচটি শট নেয় দলটি। এর মধ্যে দুটি ছিল বক্সের ভেতর থেকে। এই সময়ে রোনালদো বক্সের বাইরে প্রচুর বল পেলেও বক্সের ভেতর মাত্র দুইবার বল ধরতে পারেন।

আক্রমণ ভালো থাকলেও গতি ছিল না। ধীরগতির আক্রমণ দিয়ে কিছুতেই সাফল্য মিলছিল না পর্তুগীজদের। নিচে নেমে নেমে ডিফেন্স করছিলেন ইরানিরা।

অগত্যা দূরপাল্লার শটে ব্যবধান বাড়ান কুয়ারেসমা, ৪২তম মিনিটে। বক্সের বাইরে আন্দ্রে সিলভার সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে সামনে এগিয়ে যান। ভেতরের দিকে কাট করে দূর থেকেই ডান পায়ে শট নেন। ১৮ গজ দূর থেকে পায়ের পাতার একদিক ব্যবহার করে এমন নান্দনিক গোল চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না ইরান গোলরক্ষকের।

কুয়ারেসমা পর্তুগালের হয়ে সর্বশেষ গোল করেন ২০১৭ সালে, মেক্সিকোর বিপক্ষে। বিশ্বকাপে এটি তার প্রথম গোল।

প্রথম ৪৫ মিনিটে পর্তুগাল ৭৬ শতাংশ সময় বল নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে ইরানের রক্ষণ বেশ জমাট ছিল। কুয়ারেসমার ওই অবিশ্বাস্য গোলটি বাদে ইরান তাদের বেশ ভালোভাবেই আটকে রাখে।

০-১ গোলে পিছিয়ে বিরতি থেকে ফিরে ৫১তম মিনিটে পর্তুগালকে পেনাল্টি ‘উপহার’ দেন মর্তিজা পৌরালিগ্যাঞ্জি। বক্সের ভেতর আগুয়ান রোনালদোকে পা দিয়ে ফেলে দেন তিনি। রেফারি প্রথম বাঁশি না বাজালেও রিপ্লে দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন।

কিক নিতে আসেন রোনালদো। যিনি এই বিশ্বকাপে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করেছিলেন। স্পষ্ট কোনো ফলস নেননি। এসেই নিজের ডানদিকে শট নেন। ২৫ বছর বয়সী আলিরেজা বায়রানভান্ড শেষ মুহূর্তে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে সেটি ঠেকিয়ে দেন। দ্বিতীয় দফায় বল বুকে নেন!

অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে পেনাল্টি পায় ইরান। সেড্রিক সোয়ার্সের হাতে বক্সে বল লাগলেও রেফারি প্রথমে বাঁশি বাজাননি। পরে রিপ্লে দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন। স্পট কিক থেকে গোল করেন করিম আনসারিফার্ড।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন২৬,২০১৮)