দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় ও ভোলা সদর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ দিঘলদীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া যশোরের চৌগাছা উপজেলায় দু’দল সন্ত্রাসীর কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ জুন) ভোর এ তিন জেলায় পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে কুষ্টিয়ায় দুইজন এবং ভোলা ও যশোরে একজন করে দুইজন নিহত হয়েছেন।

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় পৃথক দুটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ জুন) ভোর সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার চিথলিয়া ও পাহাড়পুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত দুজনের পরিচয় প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।

কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাব্বিরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার চিথলিয়া এলাকায় অপহরণের ১৬ দিন পর নয় বছরের শিশু দেব দত্তের হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও মিরপুর থানা-পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। এরই মধ্যে চিথলিয়া ও পাহাড়পুর এলাকায় অপহরণকারীদের অবস্থানের খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে দুটি পৃথক অভিযান চালানো হয়। এ সময় গোলাগুলিতে অপহরণকারী চক্রের দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁদের মৃত্যু হয়। নিহত দুজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ভোলা : ভোলা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জাকির নামে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন ডিবি পুলিশের পাঁচ সদস্য।

মঙ্গলবার (২৬ জুন) ভোরে ভোলা সদর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ দিঘলদীর সীমান্তবর্তী বাঘবারা বাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় সেখান থেকে একটি এলজি, পাঁচ রাউন্ড গুলি, একটি রাম দা ও এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

নিহত জাকির উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের মৃত সাদেক আলীর ছেলে।

আহতরা হলেন- জেলা ডিবি পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুম, কনস্টেবল শহিদ, জাহিদ, মিরাজ ও মুজায়েদ।

ভোলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ভোর পৌনে ৪টার দিকে বাঘমারা বাঁধ এলাকার একটি মাছের আড়তে মাদক বিক্রি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাদক বিক্রেতাদের দু’টি গ্রুপ বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের দু’টি দল সেখানে অভিযানে যায়। এ সময় মাদক বিক্রেতারা পুলিশের ওপর গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মাদক বিক্রেতা জাকির নিহত হন।

তিনি আরো জানান, জাকিরের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র, বিস্ফোরক ও খুনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৯টি মামলা রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

যশোর : যশোরে দু’দল সন্ত্রাসীর কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ জুন) ভোরে যশোরের চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের নিমতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

যশোরের চৌগাছা থানার ওসি খন্দকার শামীম উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার ভোরে খবর আসে ফুলসারা ইউনিয়নের নিমতলা এলাকায় দুদল সন্ত্রাসী গোলাগুলি করছে। এর ভিত্তিতে তারা ওই এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক সন্ত্রাসীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুন ২৬, ২০১৮)

সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। এরই মধ্যে চিথলিয়া ও পাহাড়পুর এলাকায় অপহরণকারীদের অবস্থানের খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে দুটি পৃথক অভিযান চালানো হয়। এ সময় গোলাগুলিতে অপহরণকারী চক্রের দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁদের মৃত্যু হয়। নিহত দুজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুন ২৬, ২০১৮)