গাজীপুরে ভোটগ্রহণ শেষ, গণনা চলছে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগের মধ্য দিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয়েছে গণনা।
নির্বাচনে জালভোট ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগে সাত কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
তবে দুপুরেই এক সংবাদ সম্মেলনে এসে অনিয়মের ভোটগ্রহণ বন্ধের দাবি জানান বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কমিশনের উচিত স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা।
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, দুইশতাধিক কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া জালভোট ও সিল মারার মহোৎসব চলছে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নানক বলেন, গাজীপুর সিটিতে আজকের নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে দুই কারণে বিএনপি কোনো এজেন্ট দেয়নি। প্রথমত, প্রার্থীর দুর্বলতা। দ্বিতীয়ত, দলীয় কোন্দল। তারা দলীয় দৈন্যতায় ভুগছে। তাই নানা অভিযোগ করে উধোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে তারা।
তবে পাঁচ-ছয়টি কেন্দ্রে অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিবউদ্দীন মণ্ডল।
তিনি বলেন, কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালটে জোরপূর্বক সিল মারা ও জালভোট দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া পাঁচ-ছয়টি কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টকে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে ২৯ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, এবিবিএন, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১১ হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ৫৭টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, সংরক্ষিত আসনে ২০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে। এছাড়া ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭টি এবং অতিরিক্ত একটিসহ মোট ৫৮টি টিম মোতায়েন রয়েছে।
প্রতি দুইটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে মোট ২৯ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। এদের মধ্যে ৭ প্লাটুন কোনাবাড়ি ও কাশিমপুর এলাকায়, ১০ প্লাটুন টঙ্গী এলাকায় এবং ১২ প্লাটুন জয়দেবপুর, বাসন চান্দনা চৌরাস্তা ও কাউলতিয়া এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে।
এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসার সমন্বয়ে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৮টি মোবাইল ফোর্স, ২০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে।
নির্বাচনের আগে ও পরে চার দিন ৫৭টি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। আরো ১০ জন অতিরিক্ত হিসেবে সর্বমোট ৬৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন রয়েছেন।
এই নির্বাচনে ৪২৫টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। মোট সাত মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ২৫৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৮৪ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুন ২৬, ২০১৮)