ফ্রান্সই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: যে জিতবে সে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। আগেই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া ফ্রান্স সেই জেতার চেষ্টাই করল না। অন্যদিকে ড্র হলে নকআউট পর্ব নিশ্চিত ডেনমার্কের, তাই তারাও ফ্রান্সকে হারাতে চাপই প্রয়োগ করল না। অনেকটা ‘ঘুমপাড়ানি’ ফুটবল খেলে টুর্নামেন্টের প্রথম গোলশূন্য ড্র করে, ফ্রান্সকে ‘সি’ গ্রুপের সেরা বানিয়ে পরের রাউন্ডের টিকিট কেটেছে ডেনমার্ক।
রাশিয়া বিশ্বকাপে ৩৭ তম ম্যাচে এসে ০-০ ব্যবধান দেখা গেল। এর আগে কোনো বিশ্বকাপে এমনটি দেখা যায়নি।
অন্য ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ০-২ গোলে হারায় আগের এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তষ্টু থাকতে হচ্ছে তাদের।
ফ্রান্স-ডেনমার্কে ম্যাচে মাঝেমাঝে কয়েকটা ঝলক দেখা গেছে। প্রথমার্ধের প্রথম ৩০ মিনিট ডেনমার্কের ডিফেন্স বেশ নিখুঁত ছিল। কাউন্টার অ্যাটাকেও এগিয়ে ছিল তারা। ফ্রান্সের অ্যাটাকিং থার্ড সেই অর্থে ছন্দ দেখাতে পারেনি। কিন্তু সময় যত গড়াতে থাকে বল দখলের লড়াইয়ে ততই পিছিয়ে পড়ে ডেনমার্ক।
২৯তম মিনিটে ডেনমার্ক একটি সুযোগ পায়। থমাস ডেলানি বাঁদিক থেকে বক্সের ভেতর বল পাঠান। স্ট্রাইকার ক্রিস্টিয়ান এরিকসন দ্রুত বলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ফ্রান্স গোলরক্ষক স্টিভ মান্দান্দা ঠিক সময়ে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে বলে ঝাঁপিয়ে পড়ায় এরিকসন আর কিছু করতে পারেননি।
৩৩তম মিনিটে ফ্রান্সের ডেম্বেলে একটি সুযোগ পান। টার্গেট ঠিক রাখতে পারেননি। বাইরে উড়িয়ে মারেন।
প্রথম ৪৫ মিনিটে সব মিলিয়ে ফ্রান্স বল নিয়ন্ত্রণ করে ৭১ শতাংশ সময়। মাত্র ২৯ শতাংশ সময় বল ছিল ডেনমার্কের পায়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে ডেনমার্কের প্রথম সুযোগ আসে ৫৪তম মিনিটে। এই সময় ফ্রি-কিক পায় দলটি। ২৫ গজ দূর থেকে শট নেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসন। বল যায় সোজা ফ্রান্স গোলরক্ষক স্টিভ মান্দান্দার দিকে। কিন্তু প্রথম দফায় বল ধরতে ব্যর্থ হন তিনি। একটু দূরে ছিলেন আন্দ্রেয়াস কর্নেলিয়াস। তিনি আরেকটু আগে বলে যেতে পারলে গোলের দেখা পেতে পারতেন। তার আগেই দ্বিতীয় দফায় বল ধরে ফেলেন মান্দান্দা।
শেষদিকে ডেনমার্ক সমতা ধরে রাখতে শতভাগ রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে সময় কাটিয়ে দেয়।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ২৬,২০১৮)