বুধবার একাটেরিনবার্গে মেক্সিকোকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপ ‘এফ’ থেকে সেরা হয়েছে সুইডেন। মেক্সিকোর সমান ৬ পয়েন্ট নিয়েও গোলব্যবধানে এগিয়ে তারা। ১৯৯০ সালের পর প্রথমবার দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠল দলটি। নক আউটে গ্রুপ ‘ই’র রানার্সআপের বিপক্ষে খেলবে সুইডিশরা।

আর হেরেও পরেরপর্বে উঠেছে মেক্সিকো। অন্য ম্যাচে কাজান অ্যারেনায় সাউথ কোরিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে অঘটনের শিকার জার্মানি বাদ পড়ায় সহজেই গ্রুপ বৈতরণী পার হয়েছে আমেরিকান দলটি। মেক্সিকানদেরও সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। দ্বিতীয় রাউন্ডে গ্রুপ ‘ই’র সেরা দলের বিপক্ষে খেলতে হবে তাদের।

জার্মানির মতো প্রতিপক্ষকে হারিয়ে প্রথম দুই ম্যাচেই জয়। এরপরও সুইডেনের বিপক্ষে শঙ্কা নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছে মেক্সিকোকে। এমন অবস্থায় নেমেই বিপত্তি বাধালেন জেসাস গেলার্ডো। ১৫ সেকেন্ডের মাথায় দেখলেন হলুদ কার্ড। এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম হলুদ কার্ড!

ম্যাচের ৩০ মিনিটে সুইডেনকে গোল প্রায় পাইয়েই দিয়েছিলেন হাভিয়ের হার্নান্দেজ। নিজেদের ডি-বক্সে হ্যান্ডবল করে বসেন এ মেক্সিকান ফরোয়ার্ড। সুইডিশদের প্রবল চাপে ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নেন আর্জেন্টাইন রেফারি। তাতে রায় পড়ে মেক্সিকোর পক্ষেই।

পেনাল্টি না পাওয়ার জ্বালা মেটাতে পরের মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শট নেন সুইডিশ মার্কাস বার্গ। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপের ১৭ শটের ১৬টাই ফিরিয়ে দেয়া মেক্সিকান গোলরক্ষক ওচোয়াকে ফাঁকি দিতে পারেনি সেই শট!

একে অপরের জালে প্রথমার্ধে মোট ১৯বার শট নিয়েছে মেক্সিকো-সুইডেন। এতবার শট নিয়ে গোল না হওয়া এই প্রথম দেখল রাশিয়া বিশ্বকাপ।

বিরতির পরে সেই চিত্র পাল্টেছে। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম সুযোগেই সুইডেনকে এগিয়ে দেন লুদভিগ অগাস্টিন। ভিক্টর ক্লাসেনকে আটকাতে গিয়ে তাকে আনমার্ক করে রাখে মেক্সিকো রক্ষণ। ক্লাসেন গোল করতে পারলেন ঠিকই, তবে অগাস্টিনকে বল বানিয়ে দিলেন। বাড়ানো বলে ৫০ মিনিটে কোণাকুনি শটে গোল করেন এ সুইডিশ ডিফেন্ডার।

ম্যাচের ৬১ মিনিটে বার্গকে ফেলে দিয়ে মেক্সিকোর দুর্ভাগ্য আরও বাড়ান মরেনো। এমনভাবে ফেললেন যে প্রযুক্তির সাহায্য নেয়ার দরকারই পড়ল না রেফারির। এক মিনিট বাদেই স্পটকিক থেকে ব্যবধান বাড়িয়ে সুইডেনকে আরেকধাপ এগিয়ে নেন আন্দ্রেয়াস গ্র্যাঙ্কভিস্ট।

অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়! এই প্রবাদবাক্য প্রমাণ করতেই যেন ৭৫ মিনিটে নিজেদের কফিনে নিজেই পেরেক ঠুকলেন এডসন আলভারেজ। চেয়েছিলেন গোল ঠেকাতে। উল্টো মেক্সিকান ডিফেন্ডারের হাতে লেগে বল যখন গড়িয়ে জালে জড়ায়, দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারেননি গ্লাভস হাতে দুর্দান্ত ওচোয়া!

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ২৭, ২০১৮)