ভলগোগ্রাদে পোল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরেও সেনেগালের সমান ৪ পয়েন্ট থাকায় হিসাব-নিকাশে পড়তে হয়েছে জাপানকে। তাতে গোল ব্যবধানও সেনেগালের সমানই। দ্বারস্থ হতে হয় ফেয়ার প্লে পয়েন্টের। যাতে সেনেগালিজদের তুলনায় কম কার্ড দেখায় তথা ভদ্র খেলায় এগিয়ে থেকে নক আউট পর্ব নিশ্চিত করেছে জাপান।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে ফেয়ার প্লের বিবেচনায় কোনো দলের বাদ বা পরের রাউন্ডের যাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। জাপান-সেনেগালের কার্ড প্রসঙ্গ- সেনেগালের তুলনায় দুটি কার্ড কম দেখায় রায় গেছে জাপানিজদের পক্ষেই। সেনেগাল হলুদ কার্ড পেয়েছে ৬টি, যেখানে জাপান দেখে ৪টি।
গ্রুপ ‘এইচ’ থেকে রানার্সআপ হয়েছে জাপান। দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলবে গ্রুপ ‘জি’র চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে। আর ৬ পয়েন্টে গ্রুপের সেরা হয়েছে কলম্বিয়া।
ম্যাচ হারলেও এবারের বিশ্বকাপে এশিয়ার একমাত্র আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে ওঠা জাপান শুরু থেকেই উপহার দিয়েছে গতিময় ফুটবল। ১২ ও ১৩ মিনিটে গোলরক্ষক ফেবিনাস্কি পরপর দুবার বাঁধার দেয়াল না হলে পোল্যান্ডের বিপদ বাড়ত।
আগেরদিনে দেয়াল হয়ে জার্মানিকে একাই রুখে দিয়েছিলেন সাউথ কোরিয়া গোলরক্ষক হিয়ুন-উ চো। পোল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২ মিনিটে পর্বত হয়ে দাঁড়ান জাপান গোলরক্ষক কাওয়াশিমা। গ্রোসিস্কির হেড দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে গোললাইন থেকে ফেরান ৩৫ বছর বয়সী এএফসি মেটজে খেলা গোলরক্ষক।
কাওয়াশিমা অবশ্য শেষপর্যন্ত আটকে রাখতে পারেননি পোল্যান্ডকে। ৫৯ মিনিটে রাফাল কুরজাওয়ার সেটপিস থেকে আলতো ভলিতে বল জালে জড়ান ইয়ান বেদনারেক। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এটিই প্রথম গোল এ ডিফেন্ডারের।
জার্মান লিগ বুন্দেসলিগায় অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে এসেছিলেন রবার্ট লেভান্ডোভস্কি। বিশ্বকাপে তার দিকেই অনেকখানি তাকিয়ে ছিল পোল্যান্ড। কিন্তু লেভান্ডোভস্কি নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না। তার অনুজ্জ্বলতায় প্রথম দুম্যাচে হেরে পোল্যান্ড আগেই বাদ পড়েছে বিশ্বকাপ থেকে।
পোলিশ অধিনায়ক জ্বললেন না জাপানের বিপক্ষেও। ৭৪ মিনিটে গ্রোসিস্কির বাড়িয়ে দেয়া বল বায়ার্ন মিউনিখ তারকা বারের উপর দিয়ে বাইরে পাঠালেন দৃষ্টিকটু ভাবে। অবশ্য শেষপর্যন্ত দল জয় পেলেও তার খেলায় দেখা মেলেনি চেনা ঝলক।