দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: জয় পেলে ভালো। হারলেও ক্ষতি যা হওয়ার আগেই হয়ে গেছে। পানামা কিংবা তিউনিসিয়ার কাছে রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচের আগে হিসাবটা ছিল এরকমই। পরে মাঠে লড়াই হল, গোলও হল। তাতে পানামাকে হারিয়ে সান্ত্বনার জয়টা মিলেছে তিউনিসিয়ার। সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত-অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে যুক্ত হয়েছে আফ্রিকান দেশটির নাম!

মরডোভিয়া অ্যারেনায় মুখ রক্ষার ম্যাচে পানামাকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ ‘জি’ থেকে তৃতীয় হয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করেছে তিউনিসিয়া। দুই হার ও এক জয়ে তিন পয়েন্ট অর্জন তাদের। আর সবগুলো ম্যাচ হারায় পানামার অর্জন শূন্য!

একই গ্রুপে বেলজিয়াম ও ইংল্যান্ড আগেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে। নিতান্ত গুরুত্বহীন হলেও পানামা-তিউনিসিয়া ম্যাচেই বিশ্বকাপের ২৫০০ ও আত্মঘাতী ৫০তম গোল দেখল ফুটবল বিশ্ব।

দুই দলের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে আগেই। নিয়মরক্ষার ম্যাচে পানামা-তিউনিসিয়া নামে অন্তত একটা জয় সঙ্গী করে দেশে ফেরার মিশনে। এমন সহজ-সরল হিসাবের লড়াইয়ে শুরুতে এগিয়ে যায় পানামা। সেটাও আবার আত্মঘাতী গোলে!

বুধবারই ১৯৯৮ বিশ্বকাপের ৬ আত্মঘাতী গোলের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছিল রাশিয়া বিশ্বকাপ। বৃহস্পতিবার সেই রেকর্ডকে আরও একধাপ এগিয়ে দেন ইয়াসিন মেরিয়াহ। লুইস রদ্রিগেজের শট ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে জড়িয়ে সংখ্যাটা ৯-এ নিয়ে ঠেকান তিউনিসিয়া ডিফেন্ডার! আর বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা ৫০তম।

শেষ ভালো যার সব ভালো তার! তিউনিসিয়া যেন বদ্ধপরিকর শেষ ম্যাচটা হার মেনে বিদায় নিতে নারাজ! বিরতি থেকে ফিরেই গোলটা শোধ দেয় আফ্রিকান দলটি। ওয়াহবি খাজরির চোখ জুড়ানো পাসে গোলে ৫১ মিনিটে সমতা ফেরান ফখরদিন বেন ইউসুফ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ২৫০০ গোলটিও পূর্ণ হয় ইউসুফের এই গোলে।

গোল করিয়েই থেমে থাকেননি খাজরি। ৬৬ মিনিটে নিজেও নাম লেখান গোলের খাতায়। তাকে দিয়ে গোল করান ওসামা হাদ্দাদি। সেই গোলেই জয় নিয়ে নিজেদের শেষটা রাঙিয়ে রাখল তিউনিসিয়া।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ২৯,২০১৮)