সুন্নাতি পোশাক: ছোট্টকথায় বড় জবাব
প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান
তার মতে তিনি একজন সুন্নাতি লেবাসধারী আলেম। বাড়িতে আমি শার্ট পরেছি, তাই আমাকে বাড়িতেও সুন্নাতি লেবাস পরার জন্য অনেক ওয়ায নসিহত করলেন। জিজ্ঞাসা করলাম সুন্নাতি লেবাস কিরকম? বললেন, এক নম্বরে আরবি জুব্বা, দুই নম্বরে পাজামা পঞ্জাবী বা লুঙ্গি পাঞ্জাবী।
আমি বললাম আরবি জুব্বা তো রাসুলের যুগে কাফেররাও পরতো। রাসুল কি কখনো কাউকে ইসলাম গ্রহণের পর নতুন কোনো লেবাস পরিয়েছিলেন? তারপরও মেনে নিলাম তা পরা সুন্নাত। কিন্তু পাজামা-পাঞ্জাবীতো রাসুল সা. কখনো পরেন নাই। তা পরার জন্য আদেশও করেন নাই; তাহলে সুন্নাতি লেবাস হয় কী করে? সাহাবারাও তো কখনো পরেছেন বলে জানি না। যদি বলেন তা ভারতীয় আলেমদের বানানো সুন্নাতি লেবাস তবে আমার আপত্তি নেই।
তারপর জিজ্ঞাসা করলাম পুরুষের সুন্নাতি লেবাস পরা কি জরুরি ? তিনি বললেন, জরুরি না হলেও পরলে তো এ যুগে শত শহীদের সাওয়াব পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসা করলাম কিভাবে ? তিনি বললেন, ‘মান তামাস্সকা বে সুন্নাতি ইনদা ফসাদি উম্মাতি ফালাহু আজারু মিয়াতা শাহিদ’। [যে ব্যক্তি আমার উম্মত যখন নষ্ট হয়ে যাবে তখন একটি সুন্নাতও আকড়ে ধরবে সে শত শহীরদর সাওয়াব পাবে।] বললাম, এটি হাদিস নয়, রাসুলের নামে জাল করা বানানো কথা। তিনি একথা শুনে হতবাক।
তারপর জিজ্ঞাসা করলাম আপনার বিবি কি শাড়ি ও সেলোয়ার কামিজ পরেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ পরেন। বললাম আমাকে সুন্নাতি লেবাস পরাবার আপনার এ আগ্রহ, কিন্তু নিজের স্ত্রীকে সুন্নাতি লেবাস পরাবার আগ্রহ হয় না? তিনি বললেন, হয়। বললাম, রাসুলের স্ত্রীরা কি কখনো শাড়ি ও সেলোয়ার কামিজ পরে ছিলেন? নারীদের সুন্নাতি লেবাস কী ? কখনো কি ভেবেছেন ? তিনি আমার প্রশ্ন শুনে লা জবাব।
লেখক: ইসলামিক স্কলার
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ জুন ৩০,২০১৮)