বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ঝড় তুলেছেন সামাজিক মাধ্যমের সমালোচক বিশেষজ্ঞরা। স্থান ভেদে তাদের আক্রমণে বিদ্ধ হতে হয়েছে একের পর এক তারকা-মহাতারকাকে। কখনও তা মাত্রা ছাড়িয়েছে, আবার কখনও ছাড়িয়েছে শালীনতা।
সস্তা জনপ্রিয়তার লোভে ফুটবল কিংবদন্তিদের পরিবারকেও ছাড় দিচ্ছেন না এই ট্রোল-সম্রাটরা। পর্তুগাল বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর রোনালদোর বান্ধবীকে টার্গেট করে সেটা আবারও প্রমাণ করল তারা।
উরুগুয়ের বিরুদ্ধে পর্তুগালের শেষ ষোলোর ম্যাচের আগে ইনস্টাগ্রামে রোনালদোকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন জর্জিনা। ম্যাচ শেষ হতেই সেই পোস্টে একের পর এক আগমন ঘটতে থাকে নিন্দুকদের।আর তাদের আক্রমণের ভাষা যে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কেউ বলেছেন, ‘এবার বুঝতে পারছি কেন রোনালদোর বাড়ি ফেরার এত তাড়া?’ আবার কেউ বলেছেন, ‘চিন্তা করো না তোমার বয়ফ্রেন্ড এবার তোমার কাছেই ফিরছেন ‘
কারও কারও আক্রমণের ভাষা অবশ্য অশালীন ছিল না। তারা বলছেন, “রোনালদো তোমায় উরুগুয়ের জয় উপহার দিয়েছেন’ বা ‘তোমার জন্যই বিদায় নিতে হল রোনালদো’।
ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের দিন মেসিকে তাতাতে ইনস্টাগ্রামে তিন মাসের ছেলের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তার স্ত্রী আন্তনেল্লা রোকুজ্জো। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘ভামোস পাপি’, যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘বাবা তুমি এগিয়ে যাও’।
ক্রোয়েশিয়া কাছে হারের পর সেই ছবি দেখেই রেগে আগুন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা।রোকুজ্জো’র পোস্টের নিচের ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্ষুব্ধ সমর্থকদের একাংশ। রীতিমতো ‘ট্রোল’ করা হয় মেসির স্ত্রীকে।
‘তোমার পাপি একজন লুজার’। আরেকজন লিখেন, ‘সিরোর পাপি খুব শিগগিরি ঘরে ফিরবে। আর্জেন্টিনা ছিটকে গেলেই।’
অন্য আরেক সমর্থকের মন্তব্য ছিল, ‘আন্তনেল্লা তুমি কি তোমার স্বামীকে বলবে, নাইজেরিয়া ম্যাচে একটু ভদ্রস্থ ফুটবল খেলতে?’ আরেকজন লিখেন, ‘গো লিও! বাড়িতে গিয়ে যা করার করো’।
‘মেসি কি বিশ্বকাপ খেলছে? নাকি পাড়া ফুটবল?’ ‘তাকে খালি বার্সেলোনার হয়ে খেলতে বলো’- এমন ধরনের মন্তব্যও ছুঁড়ে দেন কেউ কেউ।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ০২,২০১৮)