দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র ব্যানারেআন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের মুখে গত এপ্রিলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। তবে এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় আবারো মাঠে নামেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন,সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল, সংরক্ষণ বা সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত আসবে।
বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে বিবেচনাধীন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এতে জটিলতা আছে, একটু সময় লাগবে।’
কোটা সংস্কার নিয়ে সরকারি কোনো প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় গত শনিবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন।
তবে সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয় আন্দোলনকারীরা। সোমবারও দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের হাতে মারধরের শিকার হয় আন্দোলনকারীরা।
গত ৮ এপ্রিল ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করলে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে মারলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনার পরদিন এই আন্দোলন সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনে ব্যাপক হামলার ঘটনাও ঘটে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ০২,২০১৮)