এই জয় নিয়ে কোয়ার্টারে ব্রাজিলের বিপক্ষে লড়বে বেলজিয়াম।
প্রথমার্ধে বেলজিয়াম ৫৬ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রাখে। এই সময়ে তারা পাস খেলে ৩১১টি। জাপান খুব একটা পিছিয়ে ছিল না। এশিয়ার দেশটি ৪৪ শতাংশ সময় বল নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ২৪৯টি পাস খেলে।
বেলজিয়াম প্রথম ভালো সুযোগ সৃষ্টি করে ২৬তম মিনিটে। মের্টেন্সের ক্রস ঠিকমতো বিপদমুক্ত করতে না পারায় সুযোগ আসে রোমেলু লুকাকুর সামনে। কিন্তু তারকা এই খেলোয়াড় দেরি করে ফেলায় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ব্লক করে দেন।
পরের মিনিটে হ্যাজার্ডের জোরালো শট রুখে দেন জাপান গোলরক্ষক এইজি কাওয়াশিমা।
বিরতির আগে গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার ভুলে গোল খেতে বসেছিল বেলজিয়াম। বাঁ-দিক থেকে ইউতো নাগাতোমোর শট ছয় গজ বক্সে ফরোয়ার্ড ইউয়া ওসাকোর পায়ে লেগে কর্তোয়ার দিকে যায়। বল ধরতে গেলে তার হাত ফসকে যায়। তবে গতি না থাকায় বিপদ হয়নি। ডাইভ দিয়ে আবার বল ধরতে সক্ষম হন।
দ্বিতীয়ার্ধে ৪৮ আর ৫২ মিনিটে দুই গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বেলজিয়াম। ৪৮ মিনিটে গোল করেন জেনকি হারাগুছি। দ্বিতীয় গোলটি তাকাশি ইনুই’র।
৬২তম মিনিটে লুকাকু এক গোল শোধ দেয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেন। ডানদিক থেকে থমাস মেউনিয়ারের ক্রসে ঠিকমতো মাথা দিতে পারলে গোল পেতে পারতেন।
লুকাকু ৬৮তম মিনিটেও একটি সুযোগ নষ্ট করেন। পরের মিনিটে বেলজিয়ামের ইয়ান ভের্তঘেন অবশ্বাস্য এক হেডে এক গোল শোধ দেন। কর্নার থেকে আসা বল জাপানের ডিবক্সের আকাশে বার কয়েক ঘুরতে থাকে। বাঁদিকে ভের্তঘেনের মাথায় চলে যায় সেটি। দেখেশুনে দূর থেকে জোরালো হেড করেন। বল দূরের পোস্টের কোনা দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়।
৭৪তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে ফিরে আসে বেলজিয়াম। বক্সের বাঁদিক থেকে হ্যাজার্ডের বাঁপায়ের ক্রসে হেড করে জাল খুঁজে নেন মারুয়ান ফেলাইনি।
৮৬তম মিনিটে জাপানকে নির্ঘাত গোলের হাত থেকে বাঁচান তাদের গোলরক্ষক। পরপর দুটি হেড ঠেকিয়ে দেন। প্রথমে হেড করেন থমাস মেউনিয়ার। সেটি কোনোমতো ফিরিয়ে দেন এইজি কাওয়াশিমা। ফিরতি বল মেউনিয়ার ক্রস পাঠান বক্সের ভেতর। সেখানে ছিলেন লুকাকু। তিনি হেড নেন। এবারও পাঞ্চ করে বেরিয়ে দেন কাওয়াশিমা।
অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে নাসের চাডলি গোল করে বেলজিয়ামকে জয় এনে দেন!
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ০৩,২০১৮)