জাবি শিক্ষকসহ অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবের সামনে মানবন্ধন থেকে আটক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রেহনুমা আহমদ ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকী বিল্লাহকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে তাদের আটকের পর বিকেল সাড়ে ৫টায় শাহবাগ থানা থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানিয়েছেন, ক্লাবের সামনে থেকে আটক করে নিয়ে আসা দুইজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।তাদের কী কারণে আটক করা হয়েছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছিল। সে কারণে তাদের আটক করা হয়েছিল।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকি বিল্লাহকে আটক করে পুলিশ।
এসময় কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে আসা অভিভাবক, শিক্ষক ও রাজনৈতিক নেতাদেরও পুলিশ লাঞ্ছনা করে। ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক, সংস্কৃতিকর্মী ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের মানববন্ধনে দাঁড়াতে চাইলে পুলিশ বাধা দিয়ে ব্যানার কেড়ে নেয়।
শনিবার সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার সময় ব্যাপক মারধরের শিকার হন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এছাড়া রবিবার ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় শাহবাগ থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ এ মামলায় রাশেদ খানকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদলতে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে, আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া মঙ্গলবার মোটরসাইকেল পোড়ানো মামলায় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া সোমবার মানবন্ধন করার সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের মারধর করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় নারী শিক্ষার্থীরা লাঞ্চনার শিকার হন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুলাই ০৩, ২০১৮)