উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে নামছে বাংলাদেশ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ফুটবল বিশ্বকাপের ফাঁকে শুরু হচ্ছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট। রাশিয়া বিশ্বকাপের কারণে বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর আড়ালে চলে গেছে।
ব্রায়ান লারার উত্তরসূরিদের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে দেড় মাসের লম্বা সফরে ২৪ জুন অ্যান্টিগায় পা রাখেন টাইগাররা। এর মধ্যে দু’দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছেন সাকিব আল হাসানরা। নতুন কোচ স্টিভেন রোডসকে পেয়ে নতুন স্বপ্ন বাংলাদেশের।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে নতুন পথচলা শুরু করতে চায় টাইগাররা। অ্যান্টিগায় নর্থ সাউন্ডে বাংলাদেশ সময় বুধবার (৪ জুলাই) রাত ৮টায় মাঠে গড়াবে প্রথম টেস্ট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে ২০০৯ সালে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল সাকিব আল হাসানের। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তার দ্বিতীয় অধ্যায়ও শুরু হচ্ছে ক্যারিবিয়ান উপকূলে।
সিরিজে ভালো করার তাগিদটা থেকেই যাচ্ছে সাকিবের। কারণ নয় বছর আগের স্মৃতি যে খুবই মধুর। ওই সফরে খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্টে ২-০-তে হারিয়েছিল সাকিবের বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দলেও বড় কোনো নাম নেই। বিপরীতে বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেকটাই। সাকিব নিশ্চয়ই নয় বছর আগের মধুর স্মৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন।
তবে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরুর আগে সাকিব জানালেন, ‘আমার খুব বেশি উত্তেজনা লাগছে না। এখনকার চ্যালেঞ্জটা আগের তুলনায় সহজ। আমাদের দল আগের তুলনায় অনেক উন্নতি করেছে।’ আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ সর্বশেষ টি ২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে।
সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের স্মৃতিও বাংলাদেশের ভালো নয়। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০-তে হেরেছিল টাইগাররা। সময় বদলেছে। টেস্টে বদলেছে বাংলাদেশও। র্যাংকিংয়ে এই মুহূর্তে ক্যারিবীয়দের চেয়ে এগিয়ে মুশফিকরা। সাকিবরা আটে (৭৫), ওয়েস্ট ইন্ডিজ নয়ে (৭২)। রেটিং পয়েন্টের পার্থক্য মাত্র তিন। এই সিরিজে জিততে পারলে ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ থাকবে সফরকারীদের। সিরিজ হারলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিচে নেমে যেতে হবে বাংলাদেশকে।
দেশের এক নম্বর পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ইনজুরি কাটিয়ে ওয়ানডে সিরিজে ফিরবেন। কিন্তু নেই টেস্ট দলে। তাই ক্যারিবীয় কন্ডিশনে সেরা বোলিং লাইনআপ ছাড়াই খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশের।
প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে অবশ্য ভালোভাবেই নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন তামিম-মাহমুদউল্লাহরা। প্রস্তুতি ম্যাচে তামিম ইকবাল ১২৫, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০২ ও অধিনায়ক সাকিব ৬৭ রান করেন। বল হাতে দুটি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহি ও শফিউল ইসলাম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ছয়টি টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সবগুলোই দুই ম্যাচের। একটি মাত্র সিরিজে জিতেছে বাংলাদেশ। এছাড়া ২০১২ সালে খুলনায় একটি টেস্ট ড্র হয়েছিল। অ্যান্টিগার উইকেট পেসবান্ধব হয়।
এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হবে না। জেসন হোল্ডারের নেতৃত্বে স্বাগতিক দলের পেস আক্রমণই সফরকারীদের জন্য বড় হুমকি।
সেখানে সাকিব চিন্তায় আছেন বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণ নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পেসারদের দেশে এবং দেশের বাইরে সব জায়গাতেই সংগ্রাম করতে হয়। আমাদের কোনো পেসার সর্বশেষ কবে পাঁচ উইকেট (টেস্টে) পেয়েছে সেটা আমার মনে নেই। এই জায়গায় উন্নতি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ০৪, ২০১৮)