দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে বসবাসকারীদের আটক করার পর তাদেরকে নিজ নিজ দেশে ফিরত পাঠানোর কথা চিন্তা করছে সে দেশটির সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে আটকদের মধ্যে রয়েছেন ২৫০ বাংলাদেশি।

দুই বছর পর গত ৩০ জুন যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের ধরতে গত ১ জুলাই অভিযান শুরু হয়। এখন আটক ব্যক্তিদের নিয়ে বিপদে পড়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। কেননা, তাদের ভরণ-পোষণের জন্যে বেশ মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হয়।

নিউজ পোর্টাল ফ্রি মালয়েশিয়া এক প্রতিবেদন আজ (৪ জুলাই) এ কথা জানায়। দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলি পোর্টালটিকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রতি বছর সারা দেশ থেকে আটক অবৈধ অভিবাসীদের ভরণ-পোষণে ২৫ মিলিয়ন মালয়েশীয় রিঙ্গিত খরচ হয়।

“তবে এর সঙ্গে বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাসসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচগুলো ধরলে সেই পরিমাণ আরও অনেক বেড়ে যাবে,” যোগ করেন মুস্তাফার।

মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দেশটির বিভিন্ন কারাগারে প্রায় ৬০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। এছাড়াও, সাম্প্রতিক অভিযানে নতুন করে ২৫০ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দ্য ডেইলি স্টারকে সেই কর্মকর্তা আজ টেলিফোনে বলেন, বাংলাদেশি অভিবাসীদের সে দেশে ‘নিয়মিত’-হওয়ার জন্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া নিয়োগ কার্যক্রম গত ৩০ জুন শেষ হয়।

তিনি আরও জানান, অনেকেই দেশটিতে ‘নিয়মিত’ হওয়ার জন্যে আবেদন করেছেন। অনেকেই আবার আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন। আবার অনেকে বিভিন্ন এজেন্ট, সাব-এজেন্টকে দিয়ে কাজ করিয়ে প্রতারিত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

দূতাবাসের সেই কর্মকর্তা বলেন, “আটক ব্যক্তিদের কয়েদখানায় আটকে না রেখে তাদেরকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমরা মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষকে বলেছি।”

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফার মতে, গত ৩ জুলাই পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৬৭৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠাতে না পারলে মালয়েশিয়া আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ০৪,২০১৮)