মেধাবীদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করতে পৃথক বেতন কাঠামোর পরিকল্পনা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করার জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর আলোকে শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়নের বিষয়টি সরকারের পরিকল্পনায় আছে।
তবে ইতোমধ্যেই সরকার এ লক্ষ্যে আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ৭৪তম জন্মদিন ছিল। প্রশ্নোত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ শুরুতেই শিক্ষামন্ত্রীকে সংসদের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। জবাবে শিক্ষামন্ত্রী সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী জানান, মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করার জন্য দেশে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে গাজীপুরে ’বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’ নামে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষে আইন মহান জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বর্তমানে শতকরা ১০০ ভাগ বেতন পাচ্ছেন। বেসরকারি কলেজ ও স্কুলের শিক্ষকদের ন্যায় মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও মর্যাদা সমতাকরণ করা হয়েছে।
স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্তকরণ প্রসঙ্গে একাধিক সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, গত ৫ বছরে সারা দেশে নতুনভাবে কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্ত করা হয়নি। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সারা দেশে এক হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ইতিমধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারি করা হয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রত্যেক সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে গৃহীত ২০টি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১০ হাজার ৬৯৪ কোটি ব্যয়ে প্রকল্পভুক্ত ৩ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ হতে প্রশাসনিক অনুমোদন জারি করা হয়েছে।
একই দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতি বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থীদের আবাসিক সঙ্কট নিরসনে বর্তমান সরকার বিবিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুলাই ০৫, ২০১৮)