সময় বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার জানান, আমদানিকারক-ডিলারদের কথা বিবেচনায় নিয়ে এই সময় বাড়ানো হয়েছে। আমদানিকারক-ডিস্ট্রিবিউটরদের যেসব কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ বিক্রেতাদের কাছে আছে সেসব পণ্যের মোড়কে এই সময়ে এমআরপি লেবেল লাগানো সম্ভব হয়নি।
‘‘এজন্য তারা আমাদের কাছে ১৫ দিনের সময় চেয়েছে। এসময়ের মধ্যে ডিলারদের হাউজে যেসব পণ্য আছে সেসব পণ্যের মোড়কে এমআরপি স্টিকার লাগানো হবে। এখন যে নতুন পণ্যগুলো ডিস্ট্রিবিউটররা বাজারে দিবে সেগুলোতে এমআরপি স্টিকার থাকবে। এসব স্টিকারে কিউআর কোড এবং বিসিএস এর ফোন নম্বর দেয়া থাকবে। এতে সাধারণ ক্রেতারা কোন অনিয়ম হলে, অতিরিক্ত দাম চাইলে বিসিএসের কাছে অভিযোগ করতে পারবে।’’
সাধারণ ক্রেতা-ভোক্তাদের বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত রাখতে এমআরপি নীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে বিসিএস সভাপতি বলেন: ভোক্তাদের জন্যই এটা করা হয়েছে। যাতে সারা বাংলাদেশে কম্পিউটার ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি পণ্য ইউনিক দামে এমআরপি স্টিকারসহ থাকে। অনেক সময় মডেল পার্থক্যের কারণে আসলেই কোন পণ্যের কী দাম সেটা নিয়ে ক্রেতারা দ্বিধায় থাকে। তাই কাস্টমার যেন বিভ্রান্ত না হয় সেজন্য সারাদেশে কম্পিউটার ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের সঠিক দামটি আমরা নিশ্চিত করতে চাইছি।
কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ এবং কম্পিউটারের সঙ্গে সম্পর্কিত সব পণ্যে এমআরপি প্রদর্শন করা, নকল পণ্য বিক্রি বন্ধ করা এবং ওয়ারেন্টি পলিসি বাস্তবায়ন করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত নজরদারীর পাশাপাশি কম্পিউটার মার্কেটগুলোতে অভিযান চালাবে।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ০৭,২০১৮)