ঝিনাইদহ-গাইবান্ধায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩
ঝিনাইদহ ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের পৌর এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে এবং গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের সাকোয়া ব্রিজ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৮ জুলাই) ভোররাত এ পৃথক দু’টি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ঝিনাইদহে দুইজন ও গাইবান্ধায় একজন নিহত হয়েছেন।
ঝিনাইদহের পৌর এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৮ জুলাই) ভোররাত ৩টার দিকে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাশে পবহাটি জামতলা মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে র্যাব । ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি, ফেনসডিলি ও ইয়াবা উদ্ধারের কথাও র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
নিহত মাদক কারবারীরা হলেন জেলা শহরের বাঘা যতিন সড়কের রহিম বক্সের ছেলে সাজ্জাতুল ইসলাম ডিএম (৩৫) ও একই উপজেলার উদয়পুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৪)।
র্যাব-৬ ঝিনাইদহের কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র এএসপি গোলাম মোর্শেদ গণমাধ্যমকে জানান, র্যাবের একটি টহল দল রাতে শহরের পবহাটি এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে মাদক বিক্রেতারা গুলি ছোড়েন। পরে পাল্টা র্যাবও গুলি ছোড়ে। এতে সাজ্জাদুর ও রাজ্জাক গুলিবিদ্ধ হলে তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয় র্যাব। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে গাইবান্ধায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শামসুল মিয়া (৩৮) নামে এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন।
রবিবার (৮ জুলাই) দিনগত রাতে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের সাকোয়া ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে একটি দেশীয় পাইপগান উদ্ধার করা হয়।
শামসুল আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য ও একাধিক মামলার আসামি ছিলেন। তার বাড়ি পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের সাকোয়া গ্রামে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান শাহারিয়ার বলেন, সদর ও সাদুল্যাপুর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে শনিবার দুপুরে ঢোলভাঙ্গা বাজার এলাকা থেকে শামসুলকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে নিয়ে তার দেওয়া তথ্য মতে অস্ত্র উদ্ধার ও তার অন্য সঙ্গীদের ধরতে রাতে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় শামসুলকে ছিনিয়ে নিতে তার সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হন শামসুল হক। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে সদর, সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী থানাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা ও ডাকাতির ১১টি মামলা রয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ০৮, ২০১৮)