পরিসংখ্যানে ফ্রান্স-বেলজিয়ামের সেমিফাইনাল
বিশ্বকাপসহ গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে গত তিন সাক্ষাতের তিনবারই জিতেছে ফ্রান্স। বিশ্বকাপে দেখা হয় দুবার। ১৯৩৮ সালে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ফ্রান্স জিতে ৩-১ গোলে। ১৯৮৬ সালে ফরাসিরা ৪-২ গোলে হারায় বেলজিয়ামকে। ১৯৮৪ সালে ইউরোতেও জেতে ফ্রান্স। তবে সর্বশেষ তিন সাক্ষাতে বেলজিয়ামকে হারাতে পারেনি দিদিয়ের দেশমের দল।
এর আগে ৭৩ বার দেখা হয়েছে বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের। পরিসংখ্যানটা বেলজিয়ামের পক্ষেই। ৩০ বার জিতেছে বেলজিয়াম। ফরাসিদের জয় ২৪টিতে। ড্র হয়েছে বাকি ১৯টি ম্যাচ।
এনিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে ফ্রান্স। আগের পাঁচ লড়াইয়ের তিনটিতেই হেরেছে ফরাসিরা। জিতেছে দুবার। ১৯৯৮ সালে ক্রোয়েশিয়া ও ২০০৬ সালে পর্তুগালকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে দলটি। এবারের আসরে শেষ ছয়টি শটেই গোলের দেখা পেয়েছে ফ্রান্স। নক আউট পর্বে অ্যান্তনিও গ্রিজম্যানের রেকর্ডটা দুদান্ত। বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলে শেষ ছয় নক আউট ম্যাচে সাত গোল করেছেন তিনি।
শেষ ২৩ ম্যাচে হারের স্বাদ পায়নি বেলজিয়াম। ২০১৬ সালে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েলসের বিপক্ষে হেরেছিল দলটি। এখন পর্যন্ত ওটাই শেষ হার তাদের। বিশ্বকাপের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ১৪টি গোল করেছে বেলজিয়াম। বিশ্বকাপের প্রথম ৫ ম্যাচে এতো বেশি গোলের রেকর্ড রয়েছে কেবল ব্রাজিলের (২০০২ সালে)
এবারের আসরে বেলজিয়ামের হয়ে নয়জন খেলোয়াড় গোল করেছেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক আসরে কোনো দলের হয়ে এর চেয়ে বেশি খেলোয়াড়ের গোল করার কীর্তি আছে মাত্র দুটি। ২০০৬ সালে ইতালি ও ১৯৮২ সালে ফ্রান্সের হয়ে মোট ১০ জন গোল করেছিলেন। এবার নতুন রেকর্ডের একেবারে কাছে রয়েছে বেলজিয়াম। দেশের জার্সি শেষ ১৩ ম্যাচে ১৭টি গোল ও ৩টি গোল করাতে সাহায্যকরেছেন রোমেলু লুকাকু।