চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন ১৭ জুলাই পর্যন্ত
কিন্তু অসুস্থতার কারণে খালেদাকে আদালতে হাজির করেননি কারা কর্তৃপক্ষ। খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হওয়ার মতো শারীরিকভাবে সুস্থ নন মর্মে আদালতে একটি প্রতিবেদন পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করে শুনানি করেন। পরে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদার জামিন ১৭ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সানাউল্লাহ মিয়া ও জিয়াউর রহমানসহ প্রমুখ। আর দুদুকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজন। ঢাকার বকশী বাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ ৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান আদালতে মামলাটি বিচারকাজ চলছে। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এ মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। একই মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। এ মামলায় তার জামিন হলেও অন্য মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকায় তিনি জামিনে মুক্ত হতে পারছেন না।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ১০,২০১৮)