‘রোড টু সাপ্লাই চেইন এক্সিলেন্স’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : দেশের সাপ্লাই চেইন পেশাদার ও নেতৃবৃন্দের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি (বিএসসিএমএস) সম্প্রতি রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘রোড টু সাপ্লাই চেইন এক্সিলেন্স’ শীর্ষক একটি গোল টেবিল বৈঠক আয়োজন করেছে। স্টেকহোল্ডারদের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট-এর সম্ভাব্য সব ধরণের সুযোগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যেই এই বৈঠক আয়োজন করা হয়।
গোল টেবিল বৈঠকে অংশ নেন আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মমিনুল ইসলাম; ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিজওয়ান ডি শামস এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাসহ নেসলে বাংলাদেশের ডিরেক্টর অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও বিএসসিএমএসের প্রেসিডেন্ট নাকিব খান; ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর স্পেশাল অ্যাডভাইজর প্রফেসর ইমরান রহমানসহ অন্যান্য প্যানেলিস্টরা।
দ্যা ডেইলি স্টার এবং বণিক বার্তার প্রতিনিধিগণ উল্লেখযোগ্য অনুশীলনগুলো তুলে ধরার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লাই চেইন এডুকেশন অ্যালায়েন্স (আইএসসিইএ)-এর এশিয়া অঞ্চলের সিইও এজাজুর রহমান। আইএসসিইএ-এর এশিয়া অঞ্চলের সিইও এজাজুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “যেকোন ক্ষেত্রেই স্বীকৃতি পাওয়াটা বেশ কঠিন। তবুও আমরা বিশ্বাস করি সময়ের সেরা অনুশীলন বা উদাহরণকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য করপোরেট, একাডেমিশিয়ানস এবং গণমাধ্যমের একসাথে কাজ করে উচিত”।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মমিনুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে সাপ্লাই চেইন অর্থায়নে ইকো-সিস্টেম তৈরি করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতামূলক আচরণের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। ‘অর্জন’ এর মতো একটি সার্বিক ডিজিটাল সাপ্লাই চেইন অর্থায়ন সমাধান এক্ষেত্রে অনন্য উদাহরণ হতে পারে”।
নেসলে বাংলাদেশের ডিরেক্টর অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও বিএসসিএমএসের প্রেসিডেন্ট নাকিব খান বলেন, “বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজগুলো সংগ্রহ করা, স্বীকৃতি দেওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিএসসিএমএস-এর অগ্রগণ্য হওয়া উচিত। আশা করছি এর ফলে সময়ের সেরা অনুশীলনগুলো প্রতি বছর বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড জেতার মাধ্যমে সবার সামনে চলে আসবে”।
অধ্যাপক ইমরান রহমান বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষার্থীদেরকে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে শেখানো জরুরি। বিদেশে এটি গুরুত্ব দিয়ে পড়ানো হয়। বাংলাদেশের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই খাতে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমাদের দেশে অনেক সময় পর্যাপ্ত লোকবল না পাওয়ার কারণে বিদেশ থেকে লোক নিয়ে আসতে হয়। দেশের ইন্ডাস্ট্রিতে কী ধরনের চাহিদা রয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একাডেমিক পড়াশোনা করানো দরকার।
ডেইলি স্টারের বিজনেস এডিটর সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে পড়ানো হয়। জাতীয় পর্যায়ে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বাস্তাবায়নের জন্য সরকারি পর্যায়ের অন্তর্ভূক্তি দরকার। প্রয়োজনে বৃহত্তর পর্যায়ে এই আলোচনার পরিধি বাড়ানো দরকার।
বক্তারা বলেন, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পণ্য বা সেবা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবহন ক্ষেত্রে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। তাহলেই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
এই গোল টেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের সামনে সারাবিশ্বে এবং বাংলাদেশে দ্রুত প্রসারমান সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট এর প্রচলিত অনুশীলনগুলো তুলে ধরা হয়ে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১১, ২০১৮)