মিয়ানমার সীমান্তে মাইন ব্যবহার করা হয় না: বিজিপি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সীমান্তে কখনও ল্যান্ড মাইন বা এ ধরনের কোনও বিস্ফোরক ব্যবহার করে না মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা সংকটের পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মাইন পুঁতে রাখার অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা বলে দাবি করেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি’র –কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থানে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিপি’র প্রতিনিধি মায়ো থানে এর পক্ষে দোভাষীর সহায়তায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিজিবি’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মজিবুর রহমান।
৯ জুলাই থেকে পিলখানায় চার দিনব্যাপী শুরু হওয়া বিজিবি-বিজিপি সিনিয়র পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বাহিনীটি বলছে, মিয়ানমার সিকিউরিটি ফোর্স কখনও মাইন বা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ব্যবহার করে না। এরপরও কোথাও মাইন দেখা গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দুই বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক ভালো। নিচের দিকে বিওপি লেভেলে যোগাযোগে ভাষাগত সমস্যা হলেও অফিসার লেভেলে দিন দিন সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে। আমরা উভয়পক্ষ আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছি।
এছাড়া, উভয়পক্ষ বর্ডার লিয়াজোঁ অফিসের কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। যার মাধ্যমে দুই বাহিনীর সম্পর্ক উন্নয়নের সঙ্গে সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলেও মনে করছে উভয়পক্ষ।
মিয়ানমারের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ, পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থানের নেতৃত্বে মিয়ানমারের ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল সীমান্ত সম্মেলনে অংশ নেয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুলাই ১২, ২০১৮)