লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর জেলায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর গোপনাঙ্গ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত স্বামীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

আহত মো. মোবারক হোসেন (৩৫) রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের আবুল ফজলের ছেলে এবং অভিযুক্ত কোহিনুর বেগম কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার সাকচর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।

চরবংশী হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে মোবারক হোসেন কুমিল্লা শহরে একটি হোটেলে চাকরি করার সুবাধে সেখানেই প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করে। তবে বিয়ের দুই বছরের মাথায় তাকে তালাক দিয়ে কোহিনুরকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে নিজ গ্রামে এসে ১৮ দিন আগে এক কিশোরীকে তৃতীয় বিয়ে করেন মোবারক। এ ঘটনা জানতে পেরে কোহিনুর সন্তানসহ তার বাবাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মোবারকের বাড়িতে আসেন। রাতেই তাদের উভয়ের মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া ও মারধর হয়। একপর্যায়ে মোবারকের পরিবারের হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষ শান্ত হয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়লে কোহিনুর মোবারকের কক্ষে গিয়ে ধারালো ব্লেড দিয়ে গোপনাঙ্গ কেটে ফেলে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে মোবারককে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মোবারক হোসেনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

অভিযুক্ত কোহিনুর বেগম বলেন, আমাকে বিয়ের ভরণ-পোষণ তো দেয়ইনি এবং খোঁজখবরও রাখত না মোবারক। দুই সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে সংসার চালাতে হতো। আমার অনুমতি ছাড়াই তৃতীয় বিয়ে করেছে স্বামী। তাই বাধ্য হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছি।

রায়পুর থানার ওসি একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। ফাঁড়ি থানার অফিসারের মাধ্যমে কোহিনুরকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১৪, ২০১৮)