দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে-তা জানতে চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

পাঠানো নোটিশে শিক্ষার্থীদের আইনি সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার কথা বলো হয়েছে।

রবিবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত চার শিক্ষার্থী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থী তরিকুল পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের ১৩ জন আইনজীবী রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষার্থী হলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, মশিউর রহমান ও জসিম উদ্দিন ।

বিশ্ববিদ্যালয় দুটির উপাচার্য, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো ওই নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৩০ জুন ও ১ জুলাই হামলার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তা নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নোটিশে বলা হয়েছে, আমাদের মক্কেলরা (নোটিশ প্রদানকারী) সচেতন নাগরিক হিসেবে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেন। তাঁরা বিগত কয়েক মাসের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেছেন। প্রত্যেকের সমর্থন ও বিশ্ববদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই আন্দোলনকে একটি বৈধ আন্দোলন হিসেবে উল্লেখ করায় আমাদের মক্কেলরা আরো উৎসাহিত হন।

নোটিশ প্রদানকারী অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া জানান, আন্দোলনের একপর্যায়ে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালায়। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু হামলাকারীদের ব্যাপারে অবগত থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যা সম্পূর্ণভাবে অপ্রত্যাশিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ও দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। এতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, আপনারা (বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ) পদে থাকার উপযুক্ত নন।

জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অসুস্থ বা তাদের ওপর হামলা হলে বা ক্যাম্পাসে যেকোনো সমস্যা হলে আইনি পদক্ষেপ নিতে হয় প্রক্টরকে। কিন্তু দুটি ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রক্টর কোনো ভূমিকা রাখেননি। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদসহ চারজন এবং রাবির একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করল এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই এ সময়ে শিক্ষার্থীদের আইনি সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হলো।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১৫, ২০১৮)