খালেদার আপিল শুনানি মুলতবি সোমবার পর্যন্ত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানি সোমবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১৫ জুলাই) খালেদা জিয়ার আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মুলতবির এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান। তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মাদ আলী আদালতকে বলেন, ‘এ আপিলের পেপার বুক অসম্পূর্ণ। এ অবস্থায় মামলার শুনানি করা যায় না।’ এরপর আদালত পেপারবুকের বিষয়ে আগামীকাল সোমবার আদেশ দেবেন মর্মে দিন নির্ধারণ করেন।
খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর রবিবার দ্বিতীয় দিনে তার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান। তিনি এ মামলার প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দির বিষয়ে শুনানি করেন।
শুনানিতে আব্দুর রেজাক খান আদালতকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ছাড়া আর কেউ কিছু বলেননি। এ মামলার প্রথম অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নূর আহম্মদ যে অনুসন্ধান রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেছিলেন, তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন তার বাইরে। সেই অনুসন্ধান প্রতিবেদনের বিষয়বস্তুর ভেতরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু ছিল না। তিনি অনুসন্ধান রিপোর্টের বাইরে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ব্যাংকের হিসাব খোলাসহ কোনও ডকুমেন্টে খালেদা জিয়ার নাম নেই।’
এরপর আদালত আগামীকাল সোমবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টা পর্যন্ত মামলার শুনানি মুলতবি করেন।
গত ১২ জুলাই খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর শুনানি করেন হাইকোর্ট। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের শুনানি নিয়ে মামলাটি রবিবার (১৫ জুলাই) পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়। এছাড়াও ওই দিন (১২ জুলাই) এ মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিন আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়ান আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার এ মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিলসহ চারটি আবেদনের ওপর শুনানি হবে। খালেদা জিয়া আপিল ছাড়াও এ মামলা শুনানির অপেক্ষায় থাকা আরও তিনটি আবেদন হলো খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে করা দুদকের আবেদন (রিভিশন), একই মামলার ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি কাজী সলিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমদের করা পৃথক দুটি আপিল।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন সেখানেই আছেন।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১৫, ২০১৮)