বিশ্বকাপ ফ্রান্সের
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ফাইনাল ম্যাচের ১৮ মিনিটের মাথায় মনের মধ্যে খচখচানি শুরু হয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া স্ট্রাইকার মানজুকিচের। সেই খচখচানির দায় মুক্ত হন ম্যাচের ৬৯ মিনিটে এক গোল করে। কিন্তু তার আগে ব্যবধান বাড়িয়ে ৪-১ করে ফেলে ফ্রান্স। মানজুকিচের গোল কেবল ব্যবধান কমিয়ে ৪-২ করতে পারলেন। আর ৪-২ ব্যবধানে জিতে ফ্রান্স ৪৮ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে বড় জয় নিশ্চত করল। নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলল ফ্রান্স।
ম্যাচের ১৮ মিনিটের মাথায় তার আত্মঘাতি গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপ ফাইনাল এর আগে আত্মঘাতি গোলের নজির নেই। কিন্তু মানজুকিচ সেই বৃত্তটা পূরণ করলেন। চিন্তায় ফেলে দিলেন পুরো ক্রোয়েশিয়াকে। কারণ এর আগে আট বিশ্বকাপে যারা প্রথমে গোল করেছে তারাই শিরোপা উৎসব করেছে।
এরপর ২৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে ইনজুরির কারণে অনিশ্চিত থাকা পেরিসিচ ক্রোয়েশিয়া স্ট্রাইকারের সেই আত্মঘাতি গোলের দায় ঘোচান। দলকে এনে দেন ভরসা। তার গোলে ১-১ গোলের সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু সে স্বস্তি ১০ মিনিটের বেশি রাখতে পারলো না ক্রোয়াটরা। আবার গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে তারা।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে মানজুকিচের দায় মেটানো পেরিসিচ এবার নিজেই দায়বদ্ধ হয়ে পড়েন। ক্রোয়াট ফরোয়ার্ড ফ্রান্সের নেওয়া কর্ণার কিক বিদপমুক্ত করতে গিয়ে বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগিয়ে বসেন। ভিডিও রেফারির সাহায্য নিয়ে রেফারি পেনাল্টি উপহার দেন ফ্রান্সকে। সেট পিস থেকে গোল করতে ভুল করেননি ফ্রান্স তারকা গ্রিজম্যান।
বিশ্বকাপে তিনি চার গোল করে ফেলেছেন। তার মধ্যে তিনটিই পেনাল্টি থেকে। তাতে ২-১ গোলে আবার এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ওই লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে ফ্রান্স। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে পগবার দারুণ গোলে ৩-১ গোলের লিড নেয় ফ্রান্স। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে চোখ ধাঁধাঁনো গোল করেন ফ্রান্সের তরুণ তারকা এমবাপ্পে। তার গোলে ৪-১ গোলের লিড নেয় ফ্রান্স। কিন্তু ম্যাচের ৭১ মিনিটের মাথায় ফ্রান্স গোলরক্ষক হুগো লরিসের ভুলে ব্যবধান কমিয়ে ৪-২ করে ক্রোয়েশিয়া।
৩২ দিনের ফুটবল মিলন মেলায় মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে শেষ হচ্ছে রোববার। শিরেপা নির্ধারণী যুদ্ধে মাঠে নেমেছে ইউরোপের দুই পরাশক্তি ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে হেরেই সেমিফাইনালে থেমেছিল ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্ন যাত্রা। ক্রোয়েটদের সামনে সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার দারুণ সুযোগ চলে আসে।অন্যদিকে ফান্সের অধিনায়ক ও কোচ হয়ে দুবার বিশ্বজয়ের ইতিহাস গড়ার সুযোগ দিদিয়ের দেশমের সামনে।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ১৫,২০১৮)