নিজেদের জালে গোল
এক আসরে নিজেদের জালে বল জড়ানোর রেকর্ডটিও ছিল ১৯৯৮ বিশ্বকাপের দখলে। সেবার সর্বোচ্চ ৬টি আত্মঘাতী গোল হয়েছিল। এবার টপকে নতুন রেকর্ড হয়েছে। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার মারিও মানজুকিচের থেকে এসেছে নিজেদের জালে জড়ানো গোলের শেষটি। সবমিলিয়ে সংখ্যাটা ১২তে যেয়ে ঠেকেছে।
সেট পিসে গোল
ফ্রি-কিক, কর্নার বা লম্বা থ্রোর সুযোগ নিয়ে গোলের হিড়িক লেগেছিল এবারের বিশ্বকাপে। ফাইনাল পর্যন্ত ১৬৯ গোলের ৭১টির উৎসই সেট পিস। এবার ইংল্যান্ড সবচেয়ে বেশি গোল পেয়েছে সেট পিস থেকে। তাদের ১২ গোলের ৯টিরই উৎস ছিল। ২০০২ বিশ্বকাপ থেকে ফিফা সেট পিস গোলের হিসাব রাখছে। ২০০৬ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৪৬টি গোলের উৎস ছিল সেট পিস।
শেষ মুহূর্তের গোল
ম্যাচ একটি পরিণতির দিকে যাচ্ছে, আচমকা গোলে পাল্টে যায় সব হিসাব-নিকাশ। ম্যাচের শেষ পাঁচ মিনিটে এমন দুই ডজনেরও বেশি গোল হয়েছে এবার। মোট সংখ্যাটা ২৯ গোল। যার ১৯টি যোগ করা সময়ের খেলায়। এই রেকর্ডটিও ছিল ১৯৯৮ বিশ্বকাপের দখলে। ফ্রান্স আসরে শেষ পাঁচ মিনিটে গোল হয়েছিল ২৪টি। এবার ১৭টি ম্যাচের ফল নির্ধারিত হয়েছে শেষ মুহূর্তের গোলে।
পেনাল্টি শুট আউট
রাশিয়ায় টাইব্রেকারে ফল এসেছে চারটি ম্যাচে। যেটি রেকর্ড। আগেও তিন আসরে চারটি করে ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়িয়েছিল। ১৯৯০, ২০০৬ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে পেনাল্টি শুটআউটে গড়িয়েছিল চার ম্যাচ। সঙ্গে ক্রোয়েশিয়া ছুঁয়েছে টাইব্রেক পরীক্ষায় জয়ের রেকর্ডও। এক আসরে দুটি টাইব্রেক পরীক্ষায় জয়ের রেকর্ড ছুঁয়ে আর্জেন্টিনার (১৯৯০ বিশ্বকাপ) পাশে বসেছে ক্রোয়েটরা।
লাল কার্ড
রেকর্ড যেখানে বেশি বেশি করে টপকে যাওয়ার জন্য, লাল কার্ড সেখানে কম দেখে রেকর্ডের পাশে রাশিয়া বিশ্বকাপ। এবার মাত্র ৪টি লাল কার্ড দেখাতে হয়েছে রেফারিদের। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম লাল কার্ডের সংখ্যা এক অঙ্কে। ১৯৭৮ বিশ্বকাপের পর সর্বনিম্ন। আর সবশেষ ১৯৭০ বিশ্বকাপে কোনো লাল কার্ড দেখাতে হয়নি রেফারিদের। হলুদ কার্ডের ক্ষেত্রে অবশ্য উল্টোটা। রেফারিরা এবার ২১৯ বার হলুদ কার্ড দেখিছেন। তবে এটি রেকর্ড নয়। ২০০৬ বিশ্বকাপ ৩০৭টি হলুদ কার্ডের ঘটনা দেখে সবার উপরে।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ১৬,২০১৮)