দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ৬ হাজার ৩৬০ টাকা নির্ধারনের প্রস্তাব করেছে পোশাক ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনা করে এই মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান সংস্থাটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

সোমবার (১৬ জুলাই) ন্যূনতম মজুরি কমিশনের তৃতীয় বৈঠকে তিনি এ প্রস্তাব করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ন্যূনতম মজুরি কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা বেগম শামসুন্নাহার ভূঁইয়াসহ অনেকে।

শ্রমিকদের পক্ষ থেকে পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মোট মজুরি ১২ হাজার ২০ টাকা নির্ধারনের প্রস্তাব করা হয়।

শ্রমিকদের জীবনযাপন ব্যয়, মান, উৎপাদন খরচ, উৎপাদনশীলতা, উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য, মুদ্রাস্ফীতি, কাজের ধরণ, ঝুঁকি ও মান, ব্যবসায়িক সামর্থ্য ও অন্যান্য আর্থ-সামাজিক বিষয় বিবেচনা করে নতুন মজুরি কাঠামো ধরা হয়।

এদিকে অবিলম্বে মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন পল্টনে নিম্নতম মজুরি বোর্ড কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণের জন্য ১১টি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ন্যূনতম ৭তম গ্রেডের জন্য আমরা ৬ হাজার ৩৬০ টাকা বেতন প্রস্তাব করেছি। পরবর্তী অন্যান্য গ্রেডের বেতন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করা হবে।

শ্রমিকদের পক্ষ থেকে শ্রমিক নেতা শামছুন্নাহার ভূঁইয়া বলেন, অনেক সংগঠন ১৬ হাজার এবং অনেক সংগঠন ১৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। কিন্তু আমাদের দেশের সব পোশাক শ্রমিকের যোগ্যতা একরকম নয়। এখন নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে। সেই সমস্ত কাজ করতে গেলে অভিজ্ঞ লোকের প্রয়োজন। সেজন্য আমরা চাই না কোনও অনভিজ্ঞ লোক চাকরিহারা হোক। বেকারত্বের সংখ্যা দেশে বৃদ্ধি পাক। তাছাড়া আমাদের দেশের সব ফ্যাক্টরির মজুরি দেওয়ার সক্ষমতা এক সমান নয়। আমরা আশা করি মজুরি কমিশন আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১৬, ২০১৮)