কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার খোকসায় ঘোষণা দিয়ে নববধূকে অপহরণের পর দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণের তিন দিন পর সোমবার (১৬ জুলাই) সংজ্ঞাহীন গৃহবধূকে বাবার বাড়িতে ফেলে গেছে অপহরণকারীরা।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের রমানাথপুর গ্রামের হাবিবর রহমান শেখের ছেলে রাজমিস্ত্রি দবির শেখ ও তার সঙ্গীরা কোমরভোগ পশ্চিমপাড়ার এক কৃষক কন্যাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। নেতাদের কাছে বিচার চেয়ে প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে পাশের গ্রামে মেয়েকে বিয়ে দেয় ওই কৃষক।

শনিবার (১৪ জুলাই) সকালে ওই নববধূ বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় দবির ও তার সঙ্গীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার তিন দিন পর সোমবার সকালে অপহরণকারীরা একটি মোটরসাইকেল করে গৃহবধূকে তার বাবার বাড়ি ফেলে রেখে যায়।

পরিবারের লোকজন গুরুতর অসুস্থ গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। পরে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

গৃহবধূর চাচা সাংবাদিকদের জানান, বাড়ির ঘর তোলার কাজে গিয়ে রাজমিস্ত্রি দবির ওই কিশোরীকে (বর্তমান গৃহবধূ) বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। এতে মেয়ের পরিবার রাজি না হওয়ার তাকে চরমভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। একপর্যায়ে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেয়া হয়। এতেও রক্ষা হলো না।

প্রথম থেকে নির্যাতিত পরিবার প্রভাবশালী রাজমিস্ত্রি দবিরের বিরুদ্ধে গ্রামের নেতাদের কাছে বিচার চেয়ে ছিল। কিন্তু বিচার পায়নি। দবির তার ঘোষণা অনুযায়ী মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে গেছে। এ ঘটনায় তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আশরাফুল আলম জানান, গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার উন্নতির হচ্ছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ দেয়ায় তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তালুকদার আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনা শুনে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়েছিলাম। কিন্তু মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ মামলা করতে আসেননি।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১৭, ২০১৮)