এক ঘোষণায় দেশটির সরকার জানায়, জরুরি অবস্থার মেয়াদ আর বাড়াবে না তারা। এরপর পূর্ব নির্ধারিত সময়েই জরুরি অবস্থার মেয়াদ শেষ হয়।

প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান পুনর্নির্বাচিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর জরুরি অবস্থার মেয়াদ আর না বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত এলো। এর আগে তিন মাস তিন মাস করে সাতবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছিল এরদোয়ান সরকার।

বিবিসি জানিয়েছে, ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর জারি করা জরুরি অবস্থা চলাকালীন লক্ষাধিক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বা চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

সরকারি পরিসংখ্যান ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, এ সময় জরুরি ডিক্রি জারি করে এক লাখ সাত হাজারেরও বেশি লোককে সরকারি চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ৫০ হাজারেরও বেশি লোককে বিনাবিচারে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ব্যর্থ ওই অভ্যুত্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা ইসলামপন্থি তুর্কি নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছে তুরস্ক। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গুলেন; যিনি এক সময় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের রাজনৈতিক মিত্র ছিলেন।

যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে ও জেলে পোরা হয়েছে তারা গুলেনের সমর্থক বলে অভিযোগ তুরস্ক সরকারের।

২০১৬ সালের ওই অভ্যুত্থানের সময় সামরিক বিমান থেকে পার্লামেন্টে বোমাবর্ষণ করা হয়েছিল এবং আড়াইশোরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ১৯,২০১৮)