শতভাগ পাস ও শূন্য পাসের কলেজ কমেছে : শিক্ষামন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ১০ বিভাগে পাসের গড় হার ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সকালে এ ফল প্রকাশ করা হয়। সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষা বোর্ডের প্রধানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফল হস্তান্তর করেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী ফল প্রকাশ করেন।
এ সময় জানানো হয়েছে, এ বছর মোট পাস করেছে আট লাখ ৫৮ হাজার ১০১ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন। এ বছর পাসের হার ও জিপিএ ৫ উভয়ই কমেছে।
এর পাশাপাশি এবার শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান এবং কেউ পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে।
শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, গত বছর শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫৩২টি। এবার সেই সংখ্যা ৪০০-তে নেমে এসেছে। অর্থাৎ শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১৩২টি।
অন্যদিকে এ বছর ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করতে পারেনি। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৭২টি। অর্থাৎ এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৭টি কমেছে।
গত বছর পাসের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯১ ভাগ। সেবার পাস করেছিল আট লাখ এক হাজার ৭১১ জন। এ বছর পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ২৭ ভাগ। অর্থাৎ গতবারের চেয়ে এবার ৫৭ হাজার ৯০ জন কম পাস করেছে।
গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন। এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন। কমেছে আট হাজার ৭০৭ জন।
যদিও দুপুর ১টায় শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করবেন। তারপরই শিক্ষার্থীরা নিজেদের ফল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অনলাইনে জানতে পারবে।
সারা দেশের দুই হাজার ৫৪১টি কেন্দ্রে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড আর একটি কারিগরি ও একটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।
এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে অংশ নেয় ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ শিক্ষার্থী। আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ১ লাখ ১২৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে (বিএম) এক লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন ও ডিআইবিএসে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৬৯।
গত ২ এপ্রিল শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ফাঁস নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু এবার প্রশ্ন ফাঁসের কোনো ধরনের অভিযোগ প্রায় ছিল না বলেই চলে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১৯, ২০১৮)